চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির খবর নেই। ম্যাচের পরিস্থিতিতে আশার ছবি খুব একটা নেই বাংলাদেশের জন্য। তবে ম্যাচের ধারাবাহিকতায় প্রেরণার উপকরণ খুঁজে পাচ্ছেন লিটন দাস। বাংলাদেশ যেভাবে বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েও গুটিয়ে গেছে এক সেশনে, পাকিস্তানের ইনিংসও সেভাবে ভেঙে পড়তে পারে-ধারণা করছেন লিটন। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ছিল বড় স্কোরের পথে। তবে চিত্র বদলে যায় দ্বিতীয় দিন সকালে। ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ এ দিন ৭৭ রানেই হারায় শেষ ৬ উইকেট। তবে বোলিংয়ে সাফল্যের পর ব্যাটিংয়েও তা ধরে রাখে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিন শেষ করে তারা কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান নিয়ে। একটি রিভিউ না নেওয়া ছাড়া বাংলাদেশের বোলাররা তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি। কোনো ধার ছিল না বোলিংয়ে। তাই পাকিস্তানের রান পাহাড়ে ওঠা কোন ব্যাপার হবে না মনে করছেন অনেকেই। দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতোই চিত্র বদলে যেতে পারে তৃতীয় দিনে। ‘প্রথম দিন লাঞ্চের আগে যখন ৪ উইকেট পড়ে যায়, হয়তো সবাই ধারণা করছিল বাংলাদেশ দ্রুত অলআউট হয়ে যাবে। ওখান থেকে আমি আর মুশফিক ভাই অনেক ভালো জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা যখন দিন শেষ করেছি, তখন ভাবনায় ছিল যে বড় সংগ্রহের দিকে যাব। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। যেটা আগের দিন হয়, সেটা পরেরদিন হয় না’। ‘পাকিস্তান ভালো অবস্থায় আছে কারণ কোনো উইকেট হারায়নি। আমার মনে হয় আমরা যদি কাল সকালে ২-৩ উইকেট নিতে পারি, তাহলে একই জায়গায় চলে আসবে খেলা।’ পাকিস্তানের দুর্দান্ত একটি দিন শেষে ম্যাচের যা চিত্র, তাতে নিয়ন্ত্রন এখন পুরোপুরি পাকিস্তানের হাতে। তবে পাঁচ দিনের ম্যাচে দুই দিন শেষেই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার কিছু দেখছেন না লিটন। ‘এখনই ফলের দিকে চিন্তা করা যাচ্ছে না। আমি ও মুশফিক ভাই যদি আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতাম, তাহলে আমাদের রান হয়তো ৪০০-৪৫০ রান থাকত। তাহলে এখন চিত্র ভিন্ন থাকত। আবার বোলিংয়ে যদি ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম, তাহলেও অন্যরকম থাকত। তবে এখনও খেলা উভয় পক্ষে আছে।’‘আমরা আগামীকাল এসে যদি দ্রুত ২-৩ উইকেটে নিতে পারি রান রেট কিন্তু খুব একটা বাড়ছে না। এই উইকেটে দ্রুত রান করা কঠিন। ওদিক থেকে ধরলে খেলা দুই পক্ষে আছে। কালকের দিনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।’