চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের দেয়া আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে করা একটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। খারিজ আদেশ অনুযায়ী ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে অর্থঋণ আদালতগুলো। গত ৪ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ এ রিট খারিজ করে দেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র কয়েকদিন আগে চট্টগাম অর্থঋণ আদালতে এসে পৌঁছায়। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি আইএফআইসি ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের ইমাম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী জেবুন্নেছা এবং ছেলে আলী ইমামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর জেরে তাদের পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টে উক্ত রিটটি দায়ের করেন। ব্যাংকের পক্ষের আইনজীবী মো. আরিফ উদ্দিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পালাতে পারেন এমন সন্দেহে আসামিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে অর্থঋণ আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে তারা উচ্চ আদালতে রিট করলে তা খারিজ করে দেন দ্বৈত বেঞ্চ।
আদালতসূত্র জানায়, হাইকোর্টের খারিজ আদেশের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ব্যাংক যে ঋণ প্রদান করে তা হল জনগণের আমানতের টাকা। জনস্বার্থ রক্ষা করার প্রয়োজনে ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থঋণ আদালত আইনের ৫৭ ধারা মোতাবেক ঋণ খেলাপিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে পারবে অর্থঋণ আদালত।
আদালত সূত্র আরো জানায়, ৬১ কোটি ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬২৩ টাকা টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে আইএফআইসি ব্যাংক। চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের শীর্ষ ঋণখেলাপি মোহাম্মদ আলী এবং তার বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিচারাধীন ২০ টির অধিক মামলায় দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণের দাবি রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আগে থেকেই মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রী বিদেশে পলাতক আছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে আলী ইমাম দেশ ছাড়তে পারেননি। আদালত সূত্র জানায়, শীর্ষ স্থানীয় ঋণ খেলাপিরা বিদেশে পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
যার কারণে বছরের পর বছর খেলাপি ঋণের মামলা নিস্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।