খেলনার গাড়ি থেকে স্বর্ণের পাত উদ্ধার চোরাকারবারির ১০ বছরের সাজা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে খেলনার গাড়ি ভেঙ্গে ৯০ টি স্বর্ণের পাত উদ্ধারের মামলায় মো. লুৎফুর রহমান নামের এক চোরাকারবারিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি কঙবাজারের মহেশখালীর ধলঘাটা এলাকার বাসিন্দা। গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। তিনি জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। মহানগর দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার দিপেন দাশ গুপ্ত আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আসামি মো. লুৎফুর রহমান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় তার লাগেজ স্ক্যানিং করে সন্দেহজনক ৪ টি খেলনা গাড়ি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে খেলনা গাড়িগুলো পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। একপর্যায়ে গাড়িগুলো ভেঙ্গে এর ভেতর থেকে ৪ টি ট্রান্সফর্মার বের করা হয়। মূলত ট্রান্সফর্মারগুলোতে ইংরেজি ই আকৃতির সাদা প্রলেপযুক্ত ৯০টি স্বর্ণের পাত শনাক্ত করে জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিমান বন্দরের তৎকালীন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অরবিন্দ মন্ডল বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ফরেন এঙচেঞ্জ রেগুলেশন এ্যাক্ট, ১৯৪৭ এর ধারা ৮() এবং ১৯৯৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫ বি এর এর ১ (বি)/২৫ডি ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে বলা হয়, আসামি মো. লুৎফুর রহমান আন্তর্জাতিক চোরাচালানী চক্রের সক্রিয় সদস্য। আদালত সূত্র আরো জানায়, মামলা তদন্ত শেষে তদন্ত সংস্থা আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলে বিচারক চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শুনানিসহ অন্যান্য প্রসিডিউর শেষে বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে রায ঘোষণা করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর নতুন ইমাম হলেন যারা
পরবর্তী নিবন্ধ‘পলাতকরা যেন আদালতে আইনি লড়াই চালাতে না পারে’