চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার অবকাঠামো উন্নয়ন ও শক্তিশালী করণের লক্ষে নগরীর খুলশী সাব স্টেশন থেকে মদুনাঘাট সাব স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রান্সমিশন লাইনের কাজ শুরু করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
১ হাজার ৩৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সমপ্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অধীনে এই কাজটি বাস্তবায়ন করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বিভিন্ন ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। এখন পুরোদমে খুলশী সাব স্টেশন থেকে মদুনাঘাট সাব স্টেশন পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৩০ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রান্সমিশন লাইনের কাজ চলছে।
সরেজমিনে নগরীর বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চান্দগাঁও আরকান সড়ক, উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরি থেকে বাহির সিগন্যাল এলাকায় দেখা গেছে সড়কের এক পাশ গভীরভাবে কেটে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ২৩০ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রান্সমিশন লাইনের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সমপ্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের দায়িত্বরত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুয়েল হাসান আজাদীকে জানান, প্রকল্পের অধীনে এখন খুলশী সাব স্টেশন থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ২৩০ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রান্সমিশন লাইনের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নগরী এবং সংলগ্ন এলাকার আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প ভিত্তিক গ্রাহকদের বিদ্যুতের দ্রুত বর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করা প্রকল্পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, খুলশী থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩০ কেভি (একটি সাব স্টেশন থেকে আর একটি সাব স্টেশন পর্যন্ত) আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রান্সমিশন লাইন এবং মদুনাঘাট সাব স্টেশনে দুটি ২৩০ কেভি জিআইএম বে এঙটেনশন কাজ সম্পন্ন করা হবে। এর ফলে এই এলাকায় (নগরীতে) বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো সুদৃঢ় হবে এবং এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা সমপ্রসারণ ও শক্তিশালী হবে।
প্রকল্পে সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় আনোয়ারা, পটিয়া, হাটহাজারী এবং চট্টগ্রাম শহরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার অবকাঠামো
উন্নয়ন করা হবে। বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ২০২৫ সালেও প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে পারেনি। এই প্রকল্পে আরও রয়েছে –খুলশী ২৩০/ ১৩২ কেভি জিআইএস সাব স্টেশন (বিদ্যমান এয়ার ইনস্যুলেইটেড ভিত্তিক ১৩২/৩৩ কেভি সাব স্টেশন অপসারণ করে) ২৩০/১৩২ কেভি জিআইএস–এ আপগ্রেড করা, আনোয়ারা ও আনন্দপুর (নিউমুরিং) এর মধ্যে ২৫.১৮২ কিলোমিটার লম্বা ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন (১৯.৯২ কিলোমিটার ওভারহেড এবং ৫.২৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড) নির্মাণ এবং অপরদিকে হাটহাজারী থেকে রামপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রান্সমিশল লাইন নির্মাণ করা।












