নগরীর খুলশী এলাকায় ৫ তলা একটি ভবন পাশের ৮ তলা ভবনের উপর হেলে পড়ছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক বাড়িটি পরিদর্শন করতে গেলে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। অবশ্য স্থানীয় একটি সূত্র বলেছে যে, ভবনটির মালিকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়াদের বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের মাঝেই ভবন হেলে পড়ার ঘটনাটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আজ ভবনটি আরো ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করতে হলে নোটিশ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে সিডিএ ।
জাকির হোসেন রোডের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে মমতাকুঞ্জ নামের ৫ তলা ভবনের পেছনের একটি কর্ণার পাশের ৮ তলা ভবনের সাথে লেগে গেছে। ৫ তলা ভবন হেলে পড়ার খবরে স্থানীয়ভাবে আতংকের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক প্রিয়তোষ দাশ পরিদর্শনে যান। তিনি ৫ তলা ভবনটিতে গেলে কেয়ারটেকার গেট বন্ধ করে রাখে। ইন্সপেক্টর প্রিয়তোষ দাশ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আসলে খোলা চোখে খুব বেশি কিছু বুঝা যাচ্ছে না। তবে পেছনের একটি কর্ণার পাশের ভবনের সাথে লেগে গেছে। এতে মনে হচ্ছে ভবনটি একটু হেলেছে। বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন বলে জানান।
এই ব্যাপারে সিডিএর অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। আমরা কাল(আজ) সকালে গিয়ে বিষয়টি সরজমিনে দেখবো। যদি ভবন হেলে পড়ে বা ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাহলে বাড়ির মালিককে নোটিশ দেবো এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় ভবনটির নাম যুক্ত করিয়ে দেবো। সিডিএর চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী হাসান বিন শামস সিডিএ টিম সরজমিনে দেখে আসার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে হেলে পড়া ভবনটিতে বিদেশিরা থাকেন বলে উল্লেখ করে কেয়ারটেকার আব্দুল হাকিম বলেন, বসবাসরত ৪টি পরিবারের অধিকাংশই বিদেশি। ভাড়াটিয়া কিংবা বাড়ির মালিকের কোন ফোন নম্বর তার কাছে নেই বলে জানান তিনি। গতকাল বিকেলে ভবনটিতে কেউ ছিল না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বাড়ির গেট খুলতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন।












