নগরীর খুলশীর সানমার রয়েল রিজের একটি ফ্ল্যাটে ৫৯০ কোটি টাকা রয়েছে, এমন খবর ছিল। একপর্যায়ে সেখানে হানা দিতে ২০ জনের একটি দল গঠন করা হয়। গাড়িসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়। পুরো পরিকল্পনায় ‘একটি বাহিনীর একজন সদস্যও যুক্ত ছিলেন’। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির পৃথক চারটি কোর্টে খুলশীর সানমার রয়েল রিজ নামের ভবনে থাকা যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ১২ আসামির মধ্যে চারজন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। আদালতে দেওয়া এ চারজনের জবানবন্দীতেই এসব কথা উঠে আসে। জবানবন্দী প্রদানকারী চারজন আসামি হলেন, মো. ওয়াজেদ রাকিব, মো. হোসেন, মো. রোকন ও মহিউদ্দিন। এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুবীর পাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, দুই দিনের রিমান্ড শেষে চারজন আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তারা জবানবন্দী দিতে রাজি হন। একপর্যায়ে আদালত তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। খুলশীর ৩ নং রোডের সানমার রয়েল রিজ নামের একটি ভবনে থাকা যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে গত ২৪ জানুয়ারি ডাকাতির চেষ্টার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন আনসারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
থানা পুলিশ জানায়, ডাকাতি চেষ্টায় মোট ২০ জন জড়িত। তবে ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা গেছে। এ ১২ জনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে গত ২৮ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির করা হয় এবং ১২ জনের মধ্যে চারজনের ফের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে বিচারক ওই চারজনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজকে (গতকাল) দুই দিনের এ রিমান্ড শেষ হলে তাদেরকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেখানে তারা জবানবন্দী দিতে রাজি হলে বিচারক তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন।