জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে প্রথম দিনে চট্টগ্রাম বিভাগ ৮ উইকেটে ৩৪০ রান করেছে। সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম ৯৯ রানের মধ্যে হারায় প্রথম ৪ উইকেট। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাদিকুর রহমান এবার ফেরেন ৩৫ রানে। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ফেরেন ১৪ বলে ১৮ রান করে। অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন এদিন রানের মুখ দেখেননি। এরপর চট্টগ্রাম প্রতিরোধে নামে। সাজ্জাদুল হক রিপনের (৫৬) সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি গড়েন শাহ পরান। ৬৫ বলে ফিফটি ছুঁয়ে পরান আরও গতিতে ছুটতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ৯১ রানে বোল্ড হয়ে যান লেগ স্পিনার ইয়াসিন মুনতাসিরের দারুণ এক ডেলিভারিতে। দারুণ খেলেও আক্ষেপ সঙ্গী শাহ পরানের। স্ট্রোকসমৃদ্ধ ইনিংস খেলে শতরানের কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত একটুর জন্য হতাশায় পুড়তে হয় তাকে। হতাশাটা বেশি হওয়ার কথা পরানের। কারন তার যে এটি অভিষেক ম্যাচ। সেই ২০২২ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন পরান। স্বীকৃত ক্রিকেট অভিজ্ঞতা বলতে ছিল এটুকুই। সবশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কুমিল্লা জেলার হয়ে খেলেছেন তিনি, পরে চট্টগ্রামে আঞ্চলিক টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলেছেন। এবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে চট্টগ্রামের হয়ে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রান করেন তিনি ১০০ বলে।
এরপর ইরফান শুক্কুরের (৬২) সঙ্গে সাজ্জাদুলের জুটি ৬৯ রানের। ইরফান ও নাঈম হাসান পরে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। নাঈম আউট হন ৪৫ রানে। আশরাফুল ৮ এবং মেহেদি ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। খুলনার পেসার সফর আলির শিকার ৪ উইকেট। মেহেদি রানা পেয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট শিকার করেন শেখ মেহেদি এবং মুনতাসির।










