খুলনার দরকার ১৮৫ রান চট্টগ্রামের ১০ উইকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১১ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় ক্রিকেট লিগে ২৭তম আসরে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ জিততে চতুর্থ ও শেষ দিন খুলনা বিভাগকে করতে হবে আরও ১৮৫ রান। চট্টগ্রামের প্রয়োজন ১০ উইকেট। সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের ৩৫১ রানের জবাবে ২৮১ রান করে খুলনা। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ৭০ রানের লিড পায় চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে খুলনার বোলারদের তোপে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। এতে ম্যাচ জয়ের জন্য ২৩৭ রানের টার্গেট পায় খুলনা। রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৫২ রান করেছে খুলনা। দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৪৯ রান করেছিল খুলনা। ২ উইকেট হাতে নিয়ে ১০২ রানে পিছিয়ে ছিল তারা। বাকী ২ উইকেটে ৩২ রান যোগ করে ২৮১ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। আগের দিন ৫৫ রানে অপরাজিত থাকা জিয়াউর রহমান ৭৭ রানে থামেন। তার ১১৫ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা ছিল। চট্টগ্রামের মেহেদি হাসান ৪টি ও আশরাফুল হাসান রোহান ৩টি করে উইকেট নেন। এনামুল হক আশিক ২টি এবং শাহ পরান ১টি উইকেট লাভ করেন। প্রথম ইনিংসে সাড়ে তিনশর বেশি রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি চট্টগ্রাম। ৬০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আট নম্বরে নামা নাইম হাসানের হাফসেঞ্চুরিতে ৪৮.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে তারা। ৯২ বল খেলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন নাইম। এছাড়া দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ১৬ এবং পারভেজ হাসান ইমন ১৩ রান করেন। প্রথম ইনিংসের সফল ব্যাটার শাহ পরান ১১ রান করে আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে মেহেদি হাসানের ব্যাট থেকে। মেহেদি হাসান রানা ও মাহেদি হাসান ৩টি করে উইকেট নেন। ইয়াসিন মুন্তাসির পান ২টি উইকেট। ২৩৭ রানের লক্ষ্যে অমিত মজুমদারকে নিয়ে ভালভাবে দিন শেষ করেন সৌম্য। অমিত ১০ ও সৌম্য ৩৪ রানে অপরাজিত আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগে উপজেলা-জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ
পরবর্তী নিবন্ধইনশাআল্লাহ ভারতের সঙ্গে জিতমু : হামজা