ইতোমধ্যে আমরা জেনে ফেলেছি চট্টগ্রামের বাবর আলী এভারেস্ট জয় করে ফেলেছেন। এভারেস্টের যাত্রাপথে খুম্বু আইসফলের বেশ কিছু ছবি পাঠিয়েছেন খোলা হাওয়ার পাঠকদের জন্য। সেখান থেকে বাছাই করা ছবি নিয়ে রইল ছবিগল্প
নেপালের দিক থেকে এভারেস্ট আরোহণের অন্যতম বড় বাধা হিসেবে ধরা হয় খুম্বু আইসফলকে। বিশাল এক দানবাকৃতির বরফের নদীকে সরু একটা জায়গা ধরে নামতে দিলে যা দাঁড়ায়, খুম্বু আইসফল তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জায়গায় জায়গায় উঁচুনিচু, বিশাল সব ফাটল তৈরি করে বিশ্বের উচ্চতম পর্বতের বেসক্যাম্প ঘেঁষে নেমেছে। চোখা সব আইস পিনাকল এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এছাড়া আছে হরেক রকমের বরফের ভাস্কর্য। কোনোটা গম্বুজাকৃতি, কোনোটা চোখা পিনাকল। মাথায় টুপি নিয়ে মাশরুমের আকৃতি নিয়েছে কোনো বরফ। আবার কোনোটার সাথে আমার চেনা জাগতিক কোনো কিছুর সাদৃশ্য নেই; যেন কোন এক দৈববলে উপস্থিত হয়েছে এই বরফ প্রপাতে। তবে বরফের আকৃতি যেমনই হোক, একটা জিনিস খুব কমন। বরফ প্রপাতজুড়ে হাজারো ফাটল। কোনোটা লম্বালম্বি, কোনোটা দিগন্ত অভিমুখী। বিশাল হাঁ করে গিলতে উদ্যত হয়ে আছে ক্লাইম্বারদের। ছোটোগুলোকে লাফিয়ে আর বড়োগুলোকে এড়িয়ে ক্রাম্পনের আঁচড় কেটে এগিয়ে চলা। বরফে ক্রাম্পনের ফ্রন্ট পয়েন্টের আঁচড় দেখলে মনে হয় হিংস্র কোনো শ্বাপদের নখর।
খুম্বুর আরেক বিখ্যাত ব্যাপার এর পপকর্ন অংশ। অতিকায় সব বরফের চাঁই আকার নিয়েছে ফুটতে থাকা পপকর্নের। এছাড়াও আছে খুম্বুর সাপ–লুডু খেলার অংশ। সোজা গেলে যে জায়গায় মিনিট দুয়েকে পৌঁছানো যেত, সেটাই এই গোলকধাঁধায় অতিক্রম করতে লাগে মিনিট কুড়ির বেশি। কখনো সামনে, কখনো পেছনে, কখনো উত্তরে কিংবা দক্ষিণে–নিচের দিকে উঠছি, কিন্তু এগোচ্ছি কই? এই প্রশ্ন ফিরে ফিরে আসে মনে।