মোটরযান আইনে দণ্ডিতদের জরিমানা পরিশোধ অত্যন্ত সহজ করা হয়েছে। সিএমপি ‘ই–ট্রাফিক প্রসিকিউশন ও জরিমানা আদায়’ সহজীকরণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পিওএস মেশিন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্তি ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর সাথে গতকাল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে ট্রাফিক আইনে দণ্ডিতদের জরিমানা পরিশোধ অনেক সহজে সম্পন্ন হবে। গতকাল বিকেলে দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত নয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন অফিসার্স ক্লাবে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় কর্মরত পুলিশ অফিসারদের দুইদিন ব্যাপী পিওএস মেশিন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এবং কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুল কাইয়ুম খান চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেন।
এই পিওএস মেশিনের সফটওয়্যার আপগ্রেডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত বাংলা কিউআর (ইধহমষধ ছজ) ব্যবহার করে খুব সহজেই তাৎক্ষণিক সময়ে ভুক্তভোগীরা জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এই সফটওয়্যার আপগ্রেড করার কারণে বিকাশ, মোবাইল ওয়ালেটসহ ২১ টি অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপস ছাড়াও বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংকের ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইফট অব বাংলাদেশ মোট ৫৬টি সহ সর্বমোট ৭৮টি পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশন জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। আর এই সকল জরিমানার টাকা কমিউনিটি ব্যাংকের কিউ ক্যাশ পেমেন্ট চ্যানেল ব্যবহার করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে জমা হবে। এই প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডকুমেন্টস আটক রাখার প্রয়োজনও পড়বে না। মূলত জনগণের সুবিধার্থে এবং জনভোগান্তি কমানোসহ ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা সহজে জমা পরিশোধ করণের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার ও ট্রাফিক বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সহ সামশুল হক সুফিয়ানী, চিফ অপারেটিং অফিসার (সিও), কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতোদিন চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কসহ বাংলাদেশের অন্য কোনো মহাসড়কে ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো অপরাধের কারণে গাড়িতে প্রসিকিউশন দেওয়া হলে পূর্বে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক ব্যবহৃত পিওএস মেশিন ও এর সফটওয়্যার দ্বারা শুধুমাত্র ইউসিবি ব্যাংকের ইউপে অ্যাপস ব্যবহার করে জরিমানার টাকা পরিশোধ করা যেত। এই ব্যাংকের এজেন্ট পয়েন্ট খুঁজে বের করে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্টদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হতো। এখন থেকে আর কোনো ভোগান্তি ছাড়াই তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করা যাবে বলেও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।