পাকিস্তানের একটি আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা খুনের প্ররোচনার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে, জানিয়েছেন তার আইনজীবী। জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা থেকে প্রভাবশালী রাজনীতিকে পরিণত হওয়া ইমরানকে ৫ অগাস্ট তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তারপর থেকে কারাগারে আছেন তিনি। খুনের প্ররোচনার অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন তিনি। জুনে কোয়েটা শহরের বিমানবন্দর সড়কে খুন হন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল রাজ্জাক। তার বাবার খুনের পেছনে ইমরান আছেন, এমন অভিযোগ এনে মামলা করেন রাজ্জাকের ছেলে। ওই মামলায় জুনেই খুনের প্ররোচনার জন্য অভিযুক্ত হন ইমরান। খবর বিডিনিউজের।
অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ার পর সোমবার তা উদযাপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এ করা এক পোস্টে ইমরানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা বলেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ। আদালতের রায়ের বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য পাকিস্তানের কোনো সরকারি কৌঁসুলিকে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে আইনজীবী রাজ্জাক আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, আস্থা ভোটে হারার পর (২০২২ এর এপ্রিলে) অসাংবিধানিকভাবে পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার জন্য ইমরানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা শুরু করা যেতে পারে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার পর ক্ষমতা হারান ইমরান। ক্ষমতা হারানোর পর তিনি যখন তার সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন তখন তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। চরম একটি অর্থনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে সংগ্রামরত অবস্থায় রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে পাকিস্তান। নভেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, তবে আগামী বছরের প্রথমদিকের আগে তা অনুষ্ঠিত হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।