বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের ওপর ৮ ও ৯ জানুয়ারি গণশুনানির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। গত নভেম্বরে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই খুচরায় দাম বাড়াতে আবেদন জমা দিতে থাকে বিতরণ সংস্থাগুলো। সেই আবেদন কারিগরি কমিটিতে মূল্যায়ন শেষে গণশুনানির দিন ঠিক করল বিইআরসি। খবর বিডিনিউজের।
ভর্তুকির ভার কমাতে গত ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। এর ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করছে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ৫ টাকা ১৭ পয়সা ছিল। ওই ঘোষণার পর ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিপিডিবি, বিআরইবি, ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো, ওজোপাডিকো খুচরা বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করতে আবেদন করতে থাকে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের দাম সব পর্যায়ে বাড়ানো হয়। তখন পাইকারিতে দাম ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। তাতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৬ পয়সা বেড়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা হয়, যে হার এখনও বহাল।
সম্প্রতি বিইআরসির এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ জানুয়ারি সবগুলো কোম্পানির আবেদনের ওপর শুনানি হবে। প্রথম দিনে শুনানি শেষ করা না গেলে দ্বিতীয় দিনে গড়াবে। শুনানিতে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত বক্তব্য ও মতামত বিইআরসিতে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হয়ে কিছু বলতে চাইলেও ১ জানুয়ারির মধ্যে নাম তলিকাভূক্ত করার অনুরোধ করে বিইআরসি।