চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন গতকাল শুক্রবার সকালে বির্জাখালের ময়লা আবর্জনা, কচুরিপানা পরিষ্কার করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিয়ে। এসময় স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে মো. মুছা সওদাগর, কফিল উদ্দীন, সফিউল আজম বাহার, চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান আহমেদ ইমু, নাঈম রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসক বাকের আলী বলির বাড়ির সম্মুখ থেকে খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন।
খালের আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রম চলাকালে চসিক প্রশাসক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক নগরবাসীদের একটি অংশ অসেচতনভাবে খালে-নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে। পূর্ব বাকলিয়া বির্জাখালেও দেখা গেল গৃহস্থালী বর্জ্য, পচা পেঁয়াজ, ছেঁড়া টেবিল ক্লথ, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এই খাল এখন কচুরিপানা, ময়লা আবর্জনায় ও মশার প্রজনন আখড়ায় পরিণত হয়েছে । একদিকে করোনা মাহামারীর সংক্রমণ বেড়েছে। নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনাদের চারপাশ, বাড়ির আঙিনা, পুকুর জলাশয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। খাল-নালা ডাস্টবিন নয়। এখানে গৃহস্থালী বর্জ্যসহ কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। যদি ফেলেন তাতে আপনাদের পরিবেশের ক্ষতি ও রোগ বালাইয়ে আপনাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। প্রশাসক বলেন, আমরা ইতোপূর্বে ইছহাকের পোলের পাশে খাল পরিষ্কার করেছি। আজ এই বির্জা খাল পরিষ্কার শুরু করলাম। এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে। এরপর যদি কোন ময়লা আবর্জনা খাল-নালায় ফেলা হয় তাহলে আশপাশের বাসিন্দাদের জরিমানা করা হবে। আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রশাসক এলাকা হেঁটে ঘুরে দেখেন এবং গরীব অসচ্ছল মানুষের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। পরে করোনা থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষায় তিনি বিশেষ মুনাজাতও করেন।
রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন ঃ এদিকে পূর্ব বাকলিয়া থেকে ফেরার পথে চসিকের উদ্যোগে চলামান নগরীর বাকলিয়ায় রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরির্দশন করেন। সিটি কর্পোরেশনরে প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায় এই ব্রিজ নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।