নগরীর স্ট্র্যান্ড রোডে গুলজার খালে হেলে পড়া ভবনগুলো খালের পাড়ে নির্মিত হয়েছে বলে দাবি করেছে নগরীতে জলাবদ্ধতা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গত সোমবার সকাল থেকে পার্বতী ফকির পাড়া এলাকার শেষ প্রান্তের সন্তোষ দাশ ও স্বপন কুমার দাশের ভবন দুটি হেলে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার আজাদীকে বলেন, আমরা হেলে পড়া ভবন ও মন্দিরের চারদিকে ফিতা দিয়ে আটকে দিয়েছি, যাতে লোকজন প্রবেশ করতে না পারে। এখন ভবনগুলোর বিষয়ে সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন সিদ্ধান্ত নেবে। গতকাল বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে থাকা সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্পের প্রায় ১৫ ফুট দূরত্বে স্থাপনা নির্মাণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু নিয়ম না মেনে সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনের ওয়ালের উপর ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া ভবনের নিচেও কোনো ফাউন্ডেশন নেই। তাই ভবনটি হেলে পড়েছে।
জলাবদ্ধতা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী আজাদীকে বলেন, আমরা পর্যাপ্ত প্রটেকশন দিয়েই কাজ করছিলাম। তবে ভবনটির কিছু অংশ আগে থেকে খালে ছিল। উচ্ছেদ অভিযানের সময় কিছু অংশ ভাঙাও হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সিডিএ পরিদর্শন করেছে। তারা শনাক্ত করেছে ভবনের নির্মাণ কাজ ড্রইং-ডিজাইন অনুযায়ী হয়নি। তার মানে ভবনটি অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গড়ে তুলেছে। খালের ওয়ালের উপর ভবনের কলাম দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রটেকশন দিলেও হেলে তো পড়বেই।