খালেদ খানের অভাব এখনো অপূরণীয়

| রবিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

মঞ্চনাটক বা টেলিভিশন যেকোনো মাধ্যমই বলি না কেন, অভিনেতা খালেদ খানের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন সহকর্মী ও ভক্তদের কাছে যুবদা। কখনো তাঁকে বলা হতো বাংলা নাটকের যুবরাজ। এই অভিনেতা ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর আজকের দিনে প্রয়াত হন। তিনি এখনো নানাভাবে উঠে আসেন ভক্ত, সহকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের লেখায় ও স্মৃতিকথায়, যা প্রকাশ করে খালেদ খানের অভাব এখনো অপূরণীয়। অভিনয়ের পাশাপাশি শেষ দিনগুলোয় শিক্ষকতা নিয়েই ছিলেন খালেদ খান।

এর মধ্যেই ধরা পড়ে অসুস্থতা। একসময় তিনি নিজে খেতেও পারতেন না। এ নিয়ে তাঁর মেয়ে ফারহিন খান জয়িতা এক তথ্যচিত্রে বলেছিলেন, একসময় বাবা কলম দিয়ে সাইন করতে পারতেন না। এমনকি ল্যাপটপের কাজগুলোও করতে পারতেন না। আমিই সেগুলো করে দিতাম। বাবা খাতাগুলো পড়তেন, আমি পাতা উল্টো দিতাম। বাবা হাত দিয়ে পাতা উল্টাতে পারতেন না। কিন্তু মূল কাজটি বাবাই করতেন।

এই অভিনেতার পরিচিতি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ‘রূপনগর’ ধারাবাহিক নাটক দিয়ে। এটি লিখেছিলেন ইমদাদুল হক মিলন। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন শেখ রিয়াজ উদ্দিন বাদশা। সেই নাটকে খালেদ খানের মুখে প্রথম সংলাপই ছিল ‘ছি ছি ছি ছি ছি তোমরা এত খারাপ’। সংলাপটি এতটা জনপ্রিয় হবে, তা কখনো ভাবেননি এই অভিনেতা। অভিনয় ছাড়া অন্য কিছুর প্রতি ফোকাস করতেন না। অভিনয়ই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। এখনো অনেকেই সেই সংলাপ উচ্চারণ করেন। মানুষের মধ্যে খালেদ খানের প্রতি ভালোবাসা, তা আমাদের মুগ্ধ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘বনলতা সেন’ হয়ে পর্দায় নাবিলা
পরবর্তী নিবন্ধআসামে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ হাতির মৃত্যু, ইঞ্জিনসহ লাইনচ্যুত ৫ বগি