খালেদা জেলে ফিরে আবেদন করলে আলোচনা হতে পারে : আইনমন্ত্রী

| বৃহস্পতিবার , ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আবারও বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে তাকে জেলে ফিরে নতুন করে আবেদন করতে হবে। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে সরকার তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। এখন আর শর্ত বদলে সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। আইনে আছে শর্তযুক্ত, শর্তমুক্ত। খালেদা জিয়ার দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সরকারকে আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। এই দরখাস্ত সেটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আমার কথা হল, আমি যেটা বারবার বলে আসছি, একটা নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত, আইনে পুনর্বিবেচনা করার ক্ষমতা আমার নাই। খবর বিডিনিউজের।
এখন খালেদা জিয়া নতুন করে একটি আবেদন করলে তার ওপর আলোচনা হতে পারে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখানেও বলছি, সংসদেও বলেছি। শর্তযুক্ত শর্তে তিনি সাজা স্থগিতে যে মুক্তি পেয়েছেন, সেটি যদি না মেনে পুনরায় জেলে যেতে চান, সেটাও হতে পারে। কিন্তু এই অবস্থায় ফৌজদারি কার্যবিধির কোথাও নাই যে তাকে আমরা আগের দরখাস্ত বিবেচনা করে বিদেশ যাবার সুবিধা করে দিতে পারি, সেটা নাই। কারণ বিদেশে পাঠানোর শর্ত আগের নিষ্পত্তি হওয়া দরখাস্তে ছিল না।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই। সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করা হয়।
আনিসুল হক আইনের ভুল ব্যাখ্যা করছেন বলে যে অভিযোগ বিএনপি নেতারা করছেন, তার জবাবে মন্ত্রী বুধবার বলেন, অনেকে বলছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা কারো বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে না। আমি কখনো বলি নাই যে তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে পাঠানো যাবে না। কিন্তু একবার নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত আবার পুনর্বিবেচনা সুযোগ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় নাই।
খালেদা জিয়ার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুনর্বিবেচনা করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মামলায় তিনি যখন সাজা ভোগ করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুটি বিশেষ শর্তে সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে সর্বশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে বলে এ অনুষ্ঠানে তথ্য দেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, সম্প্রতি তারা সর্বশেষ টেকনোলজির একটি ক্যাপসুল আমদানি করেছেন, যেটা খেয়ে ফেললে ভেতরে গিয়ে ক্যামেরার কাজ করবে। ভেতরের সব অবস্থান ক্যামেরাবন্দি হবে। আমি তার সর্বশেষ অবস্থা জানি না। তবে যতটুকু জানি, তার শারীরিক অবস্থা, আগের চাইতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখানে তিনি যতটুকু সম্ভব, সু-চিকিৎসা পাচ্ছেন। সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই, তারা যেভাবে চান, সেভাবে তার চিকিৎসা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় ঝুট গুদামে আগুন
পরবর্তী নিবন্ধবিদ্রোহীর কাছে ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জানে আলম