বিএনপি যাতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে না পারে সেজন্য ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ মামলায় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বেগম জিয়া বাইরে থাকলে জোর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারতো না এবং ভোট চুরি করতে পারবে না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নুর আহমদ সড়কের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নূর উল্লাহ বাহার।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণের কোনো মূল্য নেই। তাই তারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করছে না। নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ আজ পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। জনগণের কোনো মূল্য আওয়ামী লীগের কাছে নেই, কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে হবে। আমাদের সরকার লাগবে না, আমরা চাই নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা। নিরপেক্ষ সরকার আসলেই জনগণের মূল্যায়ন হবে, ভোটের অধিকার ফিরে আসবে। তিনি বলেন, নব্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে আবারো আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো এবং করতে হবে। তাই শ্রমিকদলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বিএনপিকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নাই।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই। তারা এখন আবোল–তাবোল বকছে। সারা দেশের মানুষ আজকে এই সরকারের পতনের আওয়াজ শোনার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তালবাহানা বন্ধ করে অনতিলম্বে আগামী নির্বাচনের আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার দাবি মেনে নিতে হবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আজ সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরস্ত্র ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। চট্টগ্রামে যুবদল–স্বেচ্ছাসেবক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মীসভায় হামলা করছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংরা। প্রশাসনের ভাইয়েরা সেখানে নীরবতা পালন করছে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল, উপদেষ্টা শামছুল আলম, সহ সভাপতি ইদ্রিস মিয়া, জেলা ও মহানগর অঞ্চল নেতৃবৃন্দ শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, শফিকুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, আবদুল মোতালেব চৌধুরী, ডা. শফিকুল ইসলাম তরুন, আবু বক্কর সিদ্দিক, আবু জাফর, কুতুব উদ্দিন, মমতাজ মিয়া, মুজিবুর রহমান, আবদুল মান্নান, ইব্রাহিম ফরাজী, আবদুল বাতেন, জসিম মিয়া, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, সালে আহম্মদ, অপু সিংহ, নর্গিস আলম, লকি আক্তার, কামরুন নাহার।











