নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল, জয়নাল আবেদীন ও বদরুদদ্দোজা বাদল। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
খালেদার আবেদনের ওপর কয়েকদফা শুনানির পর গত ২৮ আগস্ট হাই কোর্টের একই বেঞ্চ আদেশের জন্য বুধবার দিন ঠিক করে দিয়েছিল। চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ মে খালেদার পক্ষে হাই কোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী কায়সার কামাল।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল। ২০০৮ সালের ৫ মে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন– তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেঙের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেঙের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এ ছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এই মামলায় আসমি থাকলেও তারা মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।