খালেদার সঙ্গে বাবুনগরীর বৈঠকের স্বীকারোক্তি জঘন্য মিথ্যাচার

হেফাজতের প্রতিবাদ

হাটহাজারী প্রতিনিধি | বুধবার , ২১ এপ্রিল, ২০২১ at ১:৫৩ অপরাহ্ণ

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি (২০১৩ সালের ৫ মে) পালনের এক সপ্তাহ আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠকের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা জঘন্য মিথ্যাচার উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

বুধবার (২১ এপ্রিল) হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী সংবাদমাধ্যমে এ প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন। প্রতিবাদপত্রে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পুলিশ মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এ স্বীকারোক্তি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। দেশবাসী এমন মিথ্যা স্বীকারোক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ যাবত কোনো বৈঠক তো দূরের কথা, আল্লামা বাবুনগরী সামনাসামনি তাকে কখনোই দেখেননি।’

মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, হেফাজত আমিরের কাছ থেকে আমি জেনেছি, ‘২০১৩ সালে যখন তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়, তখনও পুলিশ তাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কিনা জানতে চেয়েছিল। রিমান্ডেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন, বৈঠক তো দূরের কথা, খালেদা জিয়াকে সামনাসামনি তিনি কখনোই দেখেননি। মুঈনুদ্দীন রুহি ও ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট মিথ্যাচার করেছেন। এ মিথ্যাদাবির স্বপক্ষে তাদের কেউই কখনো কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারবেন না।’

প্রতিবাদপত্রে মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইবাদত-বন্দেগীর মাসে হেফাজতের নেতাকর্মী ও হক্কানী উলামায়ে কেরামের ওপর পুরনো মিথ্যা মামলা সচল করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গুটিকয়েক নীতি-আদর্শচ্যুত সাবেক নেতাকে এতে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ ২০১৩ সাল বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এখনো ইন্টারনেটে সার্চ দিলে সহজেই জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তখনকার সংবাদে খুঁজে পাওয়া যাবে, সে সময়ে কোন কোন নেতাকর্মীদের দিবাস্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং কি কি ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু সরকার তাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ তো দূরের কথা বরং তাদের আস্কারা দিয়ে ও ব্যবহার করে হক্কানী আলেমদের হয়রানী করে মূলত ইসলামী চেতনাবোধের কণ্ঠরোধ করতে চায়। দেশবাসী এটা সহজেই উপলব্ধি করতে পারছেন।’

এতে হক্কানী উলামায়ে কেরামের ওপর দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা এবং অপবাদ আরোপ বন্ধেরও দাবি জানান তাজুল ইসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা কেড়ে নিলো কবি শঙ্খ ঘোষকে
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে কুমিল্লার অপহৃত মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার