নিলামে তোলার জন্য ইনভেন্ট্রি করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ১০০ কন্টেনারের তালিকা পাঠায় চট্টগ্রাম কাস্টমস। ইনভেন্ট্রি করতে গিয়ে দেখা গেছে-১০০ কন্টেনারের মধ্যে ৩৩টি আগেই খালাস হয়ে গেছে। এছাড়া একটি কন্টেনার ঢাকার কমলাপুর আইসিডিতে পাঠানো হয়েছে। একটির কন্টেনার নম্বর ও তথ্য সঠিক ছিল না। বাকি ৬৫টির মধ্যে কন্টেনারের ৬৪টির ইনভেন্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। একটি কেবল বৈরি আবহাওয়া ইনভেন্ট্রি করা যায়নি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার বরাবর চিঠির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ। সেই চিঠিতে নিলাম ইনভেন্ট্রির কন্টেনারের তালিকা পাঠানোর সময় যাচাই বাছাই করে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অপরদিকে কাস্টমসের নিলাম শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাঠানো রিমুভার লিস্ট (আরএল) থেকে ইনভেন্ট্রি করতে তালিকা পাঠানো হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খালাস হয়ে যাওয়া কিংবা আইসিডিতে চলে যাওয়া কন্টেনার ইনভেন্ট্রি করতে পাঠানো বন্দর ও কাস্টমসের মধ্যে কাজের সমন্বয় নেই সেটিই প্রমাণ করে। কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকলে এ ধরণের ঘটনা ঘটতো না।
জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইনভেন্ট্রি করার জন্য ১০০টি কন্টেনারের তালিকা পাঠায় চট্টগ্রাম কাস্টমস। খালাস ও অন্যত্র স্থানান্তর হওয়ায় ইনভেন্ট্রিতে ৩৫টি কন্টেনারের হদিস পাননি বন্দরের কর্মকর্তারা। এরপ্রেক্ষিতে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ কাস্টমসে নিলাম শাখা বরাবর চিঠি লিখে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে- খালাস হয়ে যাওয়া, ভুল তথ্য দেয়া এবং আইসিডিতে চলে যাওয়া কন্টেনার ইনভেন্ট্রির তালিকায় উল্লেখ করার কারণে ইনভেন্ট্রি করতে গিয়ে সময় নষ্ট হয়েছে। যদি কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে যাচাই করে কন্টেনারের তালিকা পাঠানো হতো কাজ দ্রুততার শেষ হতো এবং সময়ের অপচয় হতো না। কাস্টমস অকশন প্রক্রিয়াটি অটোমেশনের আওতায় আনা হলে ইনভেন্ট্রি কন্টেনার সমূহের নির্ভুল তথ্যপ্রাপ্তি ও দ্রুত সময়ের মধ্যে অকশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। নিলাম কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টমসকে পূর্ণ সহযোগিতা করে আসছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। তাই অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম এর রেকর্ড থেকে নির্ভুল তথ্য সম্বলিত কন্টেনারের তালিকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন দৈনিক আজাদী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমাদেরকে আরএল তালিকা পাঠানো হয়। সেই আরএল থেকে আমরা ইনভেন্ট্রি করার জন্য বন্দরকে ফিরতি তালিকা পাঠিয়ে থাকি। এখন এতগুলো কন্টেনারের তথ্য অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে দেখে তথ্য যাচাই করা অনেক সময়সাপেক্ষ বিষয়।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম দৈনিক আজাদীকে বলেন, নিয়ম মতে-আমদানিকারক ৩০দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে আমরা পরবর্তীতে আরএল লিস্ট পাঠিয়ে থাকি। এরকম শত শত কন্টেনারের আরএল আমরা পাঠিয়েছি। ব্যাপার হচ্ছে- আমরা আরএল পাঠানোর পরে আমদানিকারক যদি ছয় মাস কিংবা এক বছরের মাথায় সেই কন্টেনার খালাস করে নিয়ে যান, সেটি তো আমরা জানবো না। কারণ কাস্টমস সময়মতো নিলাম না করার কারণে এটি হয়। এখন কাস্টমসের নিলাম শাখা আমাদের কাছে তালিকা পাঠানোর আগে যদি অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে চেক করে পাঠান ইনভেন্ট্রি করতে সুবিধা হয়। 
        











