জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিম বলেছেন, পণ্যবাহী কন্টেনার স্ক্যানিং শেষে গেট দিয়ে বের হয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, স্ক্যানিং শেষে কন্টেনারবাহী গাড়ি বের না হয়ে ইয়ার্ডে ঘুরছে। স্ক্যানিং শেষে গাড়ি কই গেলো কেউ জানে না। স্ক্যানিং শেষে নেক্সট স্টেপ দিয়ে বের হয়ে যাবে, যেমনটা বিমান বন্দরে হয়। কিন্তু বন্দরে কোনো ধরনের আলাদা কোনো চ্যানেল করা নাই, বিষয়টা কাস্টমসের কর্মকর্তাদের সাথে বসে বন্দরের কর্মকর্তাদের সভা ঠিক করতে হবে। একবার স্ক্যানিং হয়ে গেলে, অন্যদিকে নড়াচড়া করার সুযোগ থাকা উচিত না। এটাও ঠিক স্ক্যান করার পর গেট দিয়ে সাথে সাথে বের হওয়ার সম্ভব নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্ক্যানিং শেষে খালাসের অপেক্ষমাণ কন্টেনারের জন্য আলাদা একটি ইয়ার্ড হওয়া উচিত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সম্মেলন কক্ষে ইপিজেডস্থ আমদানি পণ্য চালানের কার্যপ্রণালী, ঝুঁকি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আইপি বা ইম্পোর্ট পারমিটের বিষয়ে আপনাদের (ইপিজেড কর্তৃপক্ষ) বক্তব্য শুনে আমার কিছু অজানা বিষয় যেন আরো অজানা হয়ে গেলো। আপনারা বলছেন, একটি আইপির মেয়াদ থাকে এক মাস। আবার বলছেন, এটি কমার্শিয়াল আইপি না, এটি হলো ইপিজেডের আইপি। তাহলে ইপিজেডের আইপি হলো কোনো কিছু আমদানি করতে ইম্পোর্ট পারমিট লাগে না? এটা অনেকটা ইউডির মতো মনে হচ্ছে। আমাদের কোনো কিছু ইম্পোর্ট করার সময় ইম্পোর্ট পারমিট লাগে। এখন আপনারা বলেন, পণ্য আমদানি হওয়ার পরে আপনারা কি পরিমাণ আইপি ইস্যু করেন। এখন আমরা এটা করতে পারি কিনা, যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য আসার পর আইপি দেয়া হয়, তাহলে কাস্টমসের যে সকল ডিউটি ফ্যাসিলিটি আছে সেগুলো ওই প্রতিষ্ঠান পাবে না। যথাযথ সময়ে আইপি নিতে না পারলে এটা তাদের ব্যর্থতা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান, কাস্টমস একাডেমির মহাপরিচালক মাহাবুবুজ্জামান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ, বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিকেএমইএ’র পরিচালক গাজী মো. শহীদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মশিউদ্দিন বিন মেসবাহ, কর্ণফুলী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক, কোরিয়ান ইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান, ইয়াংওয়ানের এজিএম ইফতেখার হোসেনসহ প্রমুখ।