আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলার মাঝখানে অবস্থিত কোরিয়ান ইপিজডে খাবারের টেন্ডার না দিলে প্রাণনাশ ও ফ্যাক্টরি বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
গত সোমবার বিকেলে কোরিয়ান ইপিজডের আমেরিকান এন্ড এফির্ড (বাংলাদেশ) লিমিটেড কারখানার রিসিপশনে সংঘটিত এ ঘটনার জেরে দুইজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে কর্ণফুলী থানায় এই (জিডি) করেন ফ্যাক্টরিটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেগুফতা গনি (৪৪)। যার থানা জিডি নং-১০৪৩।
থানায় জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন। জিডিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ উত্তর বন্দর এলাকার মো. ইলিয়াছ কাঞ্চন (৫০) ও কাইয়ুম খান (৪৫) সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা দুই মাস আগে খাবারের টেন্ডার দেওয়ার জন্য বাদীকে প্রস্তাব দেন। বাদী কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী টেন্ডারের বিষয়টি তাদের জানাবেন বলে জানান। এর মধ্যে প্রতি সপ্তাহে অভিযুক্তরা অভিযোগকারীতে একাধিকবার ফোন করেন।
গত ২০ অক্টোবর অভিযোগকারী ফোন করে নভেম্বরের মধ্যে টেন্ডার না দিলে তাঁদের ক্ষতি হবে নানা ধরনের হুমকি দেন। সর্বশেষ ২১ অক্টোবর বিকেলে অভিযুক্তরা মাইক্রোবাস যোগে অবৈধভাবে ফ্যাক্টরির রিসিপশনে প্রবেশ করে অভিযোগকারী ও তাঁর সহকর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান।
এ ঘটনা ইস্যুতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা বলেন, গত সোমবার দুপুরে কোরিয়ার কেইপিজেডের আমেরিকান এন্ড এফির্ড (বাংলাদেশ) লিমিটেড কারখানা পরিদর্শনের জন্য টিম এসেছিলেন। এ সময় ইলিয়াছ কাঞ্চন নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা কারখানায় প্রবেশ করে সবাইকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং কারখানা থেকে কাজ দিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। এ ঘটনায় কারখানা কতৃপক্ষ সেদিন রাতেই কর্ণফুলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।’
এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোরিয়ান ইপিজেডে খাবারের টেন্ডার না দেওয়ায় হুমকির বিষয়ে জিডি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’