খানখানাবাদে বেড়িবাঁধের পাশ থেকে গর্ত করে মাটি বিক্রি

স্থানীয়দের বাধায় উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশংকা

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৯ মার্চ, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর খানখানাবাদে বেড়িবাঁধের পাশে গর্ত করে একটি চক্র মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খানখানাবাদের কদমরসুল পয়েন্ট থেকে স্থানীয়রা মাটি কাটার সময় বাধা দিলে তা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা থেকে সংঘাতের আশংকাও করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, যে বেড়িবাঁধ না হলে উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করা যেত না; এখন সে বেড়িবাঁধের পাশ থেকে মাটি নিয়ে গেলে এটা টিকবে কিভাবে? তিনি যারা এ কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেবেন বলে জানান।
জানা গেছে, খানখানাবাদে বেড়িবাঁধের কদমরসুল পয়েন্ট থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র গত কয়েকদিন ধরে স্কেভেটর দিয়ে গর্ত করে মাটি তুলছে। পরে ট্রাকে করে সেই মাটি তারা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে চলেছে। সমাজকর্মী জাহেদ আকবর জেবুসহ স্থানীয়রা ঘটনাটি প্রথমে বাঁশখালীর সংসদ সদস্যকে জানান। পরে তারা মাটি কাটার স্থানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় ৩টি স্কেভেটর ও ৭টি ড্রাম ট্রাকসহ কাজ সুপারভাইস করার দায়িত্বে থাকা রায়ছটা এলাকার মোহাম্মদ আনিস ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জাহেদ আকবর জানান। স্থানীয় দিদারুল আলম বলেন, যেখান থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বৃষ্টি হলে সেখানে বাঁধ ধসে পড়বে। আর আবারো নিঘুর্ম রাত কাটাতে হবে উপকূলের জনগণকে।
খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: বদরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঢাকায় রয়েছি। তবে শুনেছি কিছু লোক বাঁধের ৪০ ফুট জায়গা রেখে মাছের প্রজেক্ট ও মুরগির খামার করছে।’ এর বিস্তারিত তিনি জানেন না বলে দৈনিক আজাদীকে জানান। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য তার জানা নেই। তবে তিনি খবর নেবেন বলে জানান। উল্লেখ্য, বাঁশখালীতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের সংস্কার ও নির্মাণ করা হয়। যার কাজ গণ্ডামারা, ছনুয়াসহ বিভিন্নস্থানে এখনো চলমান। এ বাঁধের ফলে উপকূলে নতুন করে বসবাস এবং মেরিন ড্রাইভ করার পরিকল্পনা চলছে। নানা ধরনের সবজি ও ধান চাষ উপকূলের জনগণকে আশার আলোও দেখাচ্ছে। অথচ সেখানে কিছু মানুষ নিজেদের উন্নয়নে হাজারো মানুষের স্বপ্নে ছোবল মারছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন ৪ জন
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রীর সাথে অভিমান বাইশারীতে গৃহকর্তার আত্মহত্যা