খানখানাবাদে এক হাজার জেলের মধ্যে চাল বিতরণ

হঠাৎ পরিদর্শনে এমপি মুজিব, বললেন কোনো অনিয়ম হলে আইনগত ব্যবস্থা

বাঁশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৩ জুন, ২০২৪ at ৯:০১ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম হঠাৎ পরিদর্শন করেছেন মুজিবুর রহমান এমপি। গতকাল সকালে ৭টার দিকে এমপি উপস্থিত হওয়ার খবরে চেয়ারম্যানসহ দায়িত্বশীল সবাই আসেন। এসময় খানখানাবাদের ১ হাজার জেলের জন্য ৫৬ কেজি করে ৫৬ মেট্রিক টন চাউলের মধ্যে পরিষদের গোডাউনে ছিল ৪০ মেট্রিক টন। বাকী ১৬ মেট্রেক টন চাউল কোথায় জানতে চান এমপি। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন জানান। তবে তিনি থাকাকালীন সময়ে অপর গাড়ি ভর্তি ১৬ মেট্রিক টন চাউল পরিষদ স্থলে আসলে তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য আহ্বান জানান। এদিকে এমপির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে দিনভর আলোচনা চলে। গতকাল সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সরকারি টেক অফিসার ও উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন এবং পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন হায়দারসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলরা চাউল বিতরণ করে যাচ্ছেন।

এদিকে পরিদর্শনকালে মুজিবুর রহমান এমপি আরো বলেন, অনিয়মের জন্য এক ইঞ্চি পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। আপনারা আমাকে স্বেচ্ছায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমার নির্বাচনের স্লোগান ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম। শপথ নেওয়ার পর থেকে ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি। এলাকায় চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। এখানে পক্ষে বিপক্ষে নেই। কাউকে হ্যারাসমেন্ট করার জন্য আসি নাই। আমি চাই একটা স্বচ্ছতা ফিরে আসুক।

অপরদিকে চাউল বিতরণ বিষয়ে খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন সদস্যের স্বাক্ষরিত একটা লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকের প্রদান করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ১ হাজার জেলের জন্য ৫৬ কেজি করে ৫৬ মেট্রিক টন চাউল বিতরণ স্থলে ছিল এবং অনিয়ম হয়নি। তাছাড়া সরকারি নিয়ম অনুসারে এ চাউল ৩ থেকে ১০ জুনের মধ্যে বিতরণের সিডিউল থাকলেও সে চাউল উপজেলা নির্বাচনের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ১২ জুন বিতরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয় বলে পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। উপজেলা প্রশাসনের টেক অফিসার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিতরণের জন্য ৫৬ টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত পরিষদের যে গোডাউন রয়েছে সেখানে ৪০টন রাখা যায়। তাই বাকী ১৬ টন চাউল বিতরণের সময় পাঠানোর কথা হয় খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষের সাথে। এমপি মহোদয় যখন ভিজিটে আসেন তার কিছুক্ষণ পরেই অন্য চাউল গুলো পরিষদে আনা হয় বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে খানখানাবাদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, পরিষদের গুদামে ধারণ ক্ষমতা ৩৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। এমপি সাহেব পরিদর্শন করাকালীন সময়ে গুদামে ছিল ৪০ মেট্রিক টন। পরে খাদ্য গুদাম থেকে আরও ১৬ মেট্রিক টন চাল এনে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, খানখানাবাদের চাউল বিতরণের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আসেনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নজরদারি বাড়ানো হবে
পরবর্তী নিবন্ধজনবিচ্ছিন্ন অপশক্তি অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে