চট্টগ্রাম থেকে চলমান কন্টেনার ও খাদ্যবাহী ট্রেনের পাশাপাশি আজ থেকে চলবে বিশেষ পার্সেল ট্রেন। আজ বুধবার চট্টগ্রাম থেকে বিকেল ৩টায় ছাড়বে ট্রেনটি এবং সেটি সরিষাবাড়ী পৌঁছবে ভোর সাড়ে ৪টায়। সরিষাবাড়ী থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে ভোর সাড়ে ৫টায় এবং সেটি চট্টগ্রাম পৌঁছবে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে। এছাড়া আজ বুধবার থেকে অপর একটি ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সরিষাবাড়ী ও চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে পরিবাহিত পার্সেল মালামাল ভৈরববাজার ও আখাউড়া স্টেশনে ল্যাগেজ ভ্যান সংযোজন/বিয়োজনের মাধ্যমে গন্তব্যে প্রেরণ করা হবে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম এখন প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি নিয়মিত কন্টেইনার ও খাদ্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে। আগে যেখানে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ঢাকায় যেতে ২৫ ঘণ্টা লাগতো, এখন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ১২ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। পাশাপাশি পার্সেল ট্রেনও চলাচল শুরু হচ্ছে। যত রকমের পার্সেল আছে সব এই ট্রেনে যাবে। পাশাপাশি কৃষি পণ্যও পরিবহন করবে ট্রেনটি।
এদিকে ঢাকা-সিলেট রুটে পণ্যবাহী ট্রেন ঢাকা থেকে ছাড়বে বিকেল সাড়ে ৩টায় এবং সিলেট পৌঁছাবে রাত আড়াইটায়। আবার সিলেট থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে সকাল পৌনে ৭টায় এবং ঢাকা পৌঁছবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এছাড়া সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধবার খুলনা থেকে ছাড়বে বিকেল সাড়ে ৩টায় এবং চিলাহাটি পৌঁছবে ভোর আড়াইটায়। সপ্তাহে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ‘চিলাহাটি-খুলনা’ রুটে চিলাহাটি থেকে ছাড়বে বিকেল সাড়ে ৩টায়, খুলনা পৌঁছবে ভোর আড়াইটায়। সপ্তাহে শনিবার, সোমবার, বুধবার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম থেকে ঢাকা রুটে ১টি ট্রেন চলবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে ছাড়বে দুপুর ১টায়, ঢাকা পৌঁছবে ভোর ৩টায়। সপ্তাহে রবিবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ‘ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম’ রুটে ১টি পার্সেল ট্রেন চলবে। ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৬টায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনে পৌঁছবে রাত সাড়ে ৮টায়।
খুলনা-ঢাকা রুটের মালামাল পরিবাহিত লাগেজ ভ্যান ঈশ্বরদী স্টেশনে বিয়োজন করত: বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনে সংযোজন/বিয়োজন করা হবে। বিশেষ পার্সেল ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য যেমন, শাক-সবজি, দেশীয় ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যাদি পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার উপর ২৫ শতাংশ রেয়তী ও অন্যান্য সকল প্রকার চার্জ রহিত থাকবে বলে জানানো হয়।
এই ব্যাপারে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, করোনাকালীন সকল ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে বুধবার থেকে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে। গতকাল প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে জীবন এবং জীবিকা চালু রাখতে হবে। লকডাউনে কৃষক যাতে কৃষি পণ্য সহজে পরিবহন করতে পারে সে জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ পার্সেল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিফিংকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার,অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন সরদার শাহাদত আলী উপস্থিত ছিলেন।












