খাতুনগঞ্জ ইসলামী ব্যাংকের ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

এস আলমের ছেলেসহ ৫২জনের বিরুদ্ধে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ছেলেসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম১ দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু দৈনিক আজাদীকে বলেন, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে ৮২৭ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ টাকা ঋণ নেওয়া হয়, যা মুনাফাসহ ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিপুল পরিমাণ এ অর্থ আত্মসাৎ, অর্থের প্রকৃত উৎস গোপন এবং স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালজালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে বিপুল পরিমাণ এ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, সেঞ্চুরি ফুডের মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ব্যাংকের সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ, ব্যাংকের সাবেক সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমদ, ব্যাংকের সাবেক সদস্য মো. কামরুল হাসান, ব্যাংকের সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মাদ সালেহ জহুর, ব্যাংকের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হাসান, সাবেক পরিচালক মো. ফসিউল আলম, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য আবু সাইদ মোহাম্মদ কাশেম, সাবেক পরিচালক ও সদস্য জামাল মোস্তফা চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব উল আলম, সাবেক ডিএমডি তাহের আহমেদ চৌধুরী, ডিএমডি হাসনে আলম, ডিএমডি মো. আবদুল জব্বার, এসইভিপি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এসইভিপি এ এ এম হাবিবুর রহমান, এসইভিপি মোহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, এএমডি ওমর ফারুক খান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, সাবেক ডিএমডি (সিআরও) মোহাম্মদ আলী, সাবেক ডিএমডি (সিএইচআরও) মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সাবেক এসইভিপি ও বর্তমানে এএমডি আলতাফ হোসেন, সাবেক ডিএমডি মোহাম্মদ সাব্বির, এসইভিপি জি এম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, সাবেক ডিএমডি মিফতাহ উদ্দিন, সাবেক ডিএমডি আবুল ফাইয়াজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, সাবেক এসইভিপি ও বর্তমানে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, এঙিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফরিদ উদ্দিন, নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (চুক্তিভিত্তিক) কাজী মো. রেজাউল করিম, ভিপি ও সাবেক শাখাপ্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম।

মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, ব্যাংকটির সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখাপ্রধান মো. মনজুর হাসান, ব্যাংকটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখাপ্রধান মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এসএভিপি, করপোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশন (সিআইডি) মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, দুলারি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. ছাদেকুর রহমান, মুছা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. মুছা চৌধুরী, এম এম করপোরেশনের প্রোপাইটর মোহাম্মদ রফিক, অ্যাপার্চার ট্রেডিং হাউসের প্রোপাইটর এস এম নেছার উল্লাহ, ফেমাস ট্রেডিং করপোরেশনের আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মাদ আবদুস সবুর, আনছার এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর আনছারুল আলম চৌধুরী, রেইনবো করপোরেশনের প্রোপাইটর রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউসের প্রোপাইটর এরশাদ উদ্দিন, গ্রিন এঙপোজ ট্রেডার্সের প্রোপাইটর এম এ মোনায়েম, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের মালিক মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী এবং সোনালি ট্রেডার্সের প্রোপাইটর সহিদুল আলম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় ১৪ লাখ টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধএস আলম পরিবারের ১৭৫ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ