নগরীর খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ মিয়া বাজারের ভেতরের চৌধুরী বিল্ডিংয়ের নিচ তলার একটি মিলে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলার উপকরণের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার বিকালে আরিফ নামের একজনের মিলে অভিযান পরিচালনাকালে ভেজাল মসলার এ উপকরণ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে নানা প্রকারের ভেজাল মসলার উপকরণ জব্দসহ মিলের ভেতর থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মোহাম্মদ ইসহাক, মুহাম্মদ সাগর, রাহাত উদ্দিন, নসু মাঝি, মোহাম্মদ শহীদ ও মুহাম্মদ খাইরুল। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-৭ সূত্র জানায়, ভেজাল মসলাদ্রব্যের মধ্যে ছিল ভেজাল হলুদ, মরিচ ও ধনিয়ার গুঁড়া তৈরীর উপকরণ লাল রংয়ের ক্যামিকেল ৮৫০ গ্রাম, হলুদ রংয়ের ক্যামিকেল ৩৫০ গ্রাম, খয়েরী রংয়ের ক্যামিকেল ২০ গ্রাম, কয়লা ৮০০ গ্রাম, মেশিনের টবের ভিতর ও মেশিনের নীচে ছিল ভেজাল মসলা তৈরী অবস্থায় ধানের কুঁড়া ও গোটা হলুদ মিশ্রিত প্লাস্টিকের ৭টি বস্তায় রক্ষিত সর্বমোট ২৮৬ কেজি, ৭ টি প্লাস্টিকের বস্তায় রক্ষিত ৩৩৩ কেজি ভেজাল হলুদের গুঁড়া, ৪টি প্লাস্টিকের বস্তায় রক্ষিত ১৫৭ কেজি ভেজাল মরিচের গুঁড়া, ২টি প্লাস্টিকের বস্তায় রক্ষিত ৮০ কেজি ভেজাল ধনিয়ার গুঁড়া যা বিভিন্ন ভোক্তাদের মধ্যে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছিল। র্যাব সূত্র আরও জানায়, ১২টি বস্তায় মোট ৫৬৫ কেজি ধানের কুঁড়া যা ভেজাল হলুদ, মরিচ ও ধনিয়ার গুঁড়া তৈরীর কাজে ব্যবহার করার জন্য মজুদ করে রাখা হয়েছিল। র্যাব কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার বলেন, স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী এই মিলে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল হলুদ, মরিচ ও ধনিয়ার গুঁড়া তৈরী করে ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি হচ্ছিল।












