খাতুনগঞ্জে মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ। গতকাল বিকেলে খাতুনগঞ্জের এমএস ট্রেড সেন্টারে ভুক্তভোগী মোসলেম উদ্দিনের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল গালীব।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিনের বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারের প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের সাথের ছবি এডিট করে বিভিন্ন ক্যাপশন ও ট্যাগ লাগিয়ে কতিপয় ব্যক্তি নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হুমকি দেয়। মোসলেম উদ্দিনের গ্রামের বাড়ী, শহরের বাসা-অফিসের ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে ২৮ সেকেন্ডের ভিডিও নিউজ তৈরি করে যাতে মোসলেম উদ্দিনকে ফ্যাসিবাদের দোসর, অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী হিসেবে ট্যাগ দেয়। ওই ২৮ সেকেন্ডের ভিডিও মোসলেম উদ্দিনের মোবাইলে পাঠিয়ে তার মান সম্মান হানি করার ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী অবৈধ চাঁদাবাজরা। পরে চক্রটি মোসলেম উদ্দিনের অফিসে এসে ভীতি প্রদর্শন করে বিপুল অংক চাঁদা দাবি করলে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বিস্তারিত তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দিলে আদালত দুইজন সাংবাদিক নামধারীর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে দুই নম্বর আসামি হাইকোর্ট বিভাগে অন্তবর্তী জামিন আবেদন করলে হাইকোর্ট উক্ত আসামিকে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করার নির্দেশ প্রদান করেন।
দুই নম্বর আসামি বিগত গত ৫ অক্টোবর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করলে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বর্তমানে উক্ত মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসএম কামাল উদ্দীন, আমিনুর রহমান মিন্টু, মঞ্জুর আলম, এরশাদুর রহমান রাশেদ, মো. শাহজাহান, তৈয়বুল আলম, মীর মো. সাজ্জাদ উল্ল্যাহ, ফরিদুল আলম প্রমুখ।












