খাতুনগঞ্জে এসেছে চার দেশের চিনি, কমছে দাম

বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত হচ্ছে বলছেন ব্যবসায়ীরা

জাহেদুল কবির | বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ

চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে তিন দেশ থেকে আসছে আমদানি করা চিনি। গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের কিছু শিল্পগ্রুপ চিনির বাজারে সিন্ডিকেট সিন্ডিকেট তৈরি করে। এসব দেশীয় শিল্পগ্রুপ নিজেদের ইচ্ছেমতো চিনির বাজার উঠানামা করতো। তবে এখন বিভিন্ন দেশ থেকে চিনির আমদানি হওয়ায় চিনির দাম নিম্নমুখী। বর্তমানে বিশেষ করে ব্রাজিল, জার্মানি ও পাকিস্তান থেকে আসছে বিপুল পরিমাণ চিনির চালান। এছাড়া বৈধ ও অবৈধপথে ভারতীয় চিনিও বাজারে আসছে। ফলে চিনির বাজার গত এক সপ্তাহে আরো কমেছে।

এই সময়ের চিনির দাম মণপ্রতি ৫০ টাকা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এছাড়া চিনির বাজারে পুরনো সিন্ডিকেট ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েছে। এতে দাম কমার ক্ষেত্রে প্রভাব রাখছে। গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারিতে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২০০ টাকায়। গত এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ২৫০ টাকায়। বর্তমানে পাইকারী হিসেবে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ১১২ টাকায়। সেই চিনি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।

নগরীর ২নং গেট এলকার খুচরা চিনি বিক্রেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা পাইকারী বাজার থেকে অল্প অল্প চিনি এনে বিক্রি করছি। আমরা বেশি দামে চিনি কিনেছিলাম, তাই এখন এই দামে চিনি বিক্রি করলে লোকসান দিতে হবে।

জানা গেছে, খাতুনগঞ্জের বাজারে পণ্য বেচাকেনা ও লেনদেনে যুগ যুগ ধরে কিছু প্রথা চালু আছে। নিজেদের সুবিধার অনেক প্রথা আছে যেগুলো আইনগতভাবে স্বীকৃত নয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) স্লিপ’। চিনি কিংবা অন্য কোনো পণ্য কেনাবেচায় ডিও বেচাকেনার মাধ্যমে বিভিন্ন আগাম লেনদেন হচ্ছে। দেখা যায়, পণ্য হাতে না পেলেও ওই স্লিপটিই বেচাকেনা হচ্ছে। কোনো কোম্পানি বাজারে আসার আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের ডিও বিক্রি করে। যে দরে ডিও বিক্রি হয়, তার বাজার দর যদি বেড়ে যায়, তখন পণ্য ডেলিভারি দিতে তারা গড়িমসি করে। আবার দেখা যায়, কোম্পানির পণ্যের তুলনায় ডিও বিক্রিও হয় বেশি। এর ফলেও কোম্পানি বাজারে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারে না। ফলে এসব পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বর্তমানে ব্রাজিল, জার্মানি, পাকিস্তান ও ভারত থেকে চিনি আসছে। এছাড়া দেশীয় কোম্পানির চিনিও রয়েছে। এর ফলে দাম কমছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদলের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পেলেন তিন নেতা
পরবর্তী নিবন্ধকাজীর দেউড়িতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার