ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)’র অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রিয়নবীর গায়েবী নির্দেশ পেয়ে তিনি দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে আগমন করেন। তাঁর অনুপম চরিত্র মাধুর্য, মানবসেবা, সৌহার্দ্য–সমপ্রীতি ও আধ্যাত্মিক শক্তিতে মোহিত হয়ে দলে দলে লোক পৌত্তলিকতার অন্ধকার ত্যাগ করে ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়। ভারতবর্ষে দ্বীনের প্রচার–প্রসারে এ মহান আধ্যাত্মিক সাধক অনেক কষ্ট স্বীকার করেছেন। তৎকালীন শাসকদের বহু অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করেও তিনি দ্বীনের দাওয়াত থেকে বিচ্যুত হননি। এ অঞ্চলের মুমিন মুসলমানগণ তাঁর নিকট চিরঋণী হয়ে থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকা–এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় আনজুমান–এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী আজমিরী (রহ.)’র পবিত্র ওরস মোবারক উদযাপন উপলক্ষে মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দীন (শাকের), ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ কমর উদ্দীন (সবুর), প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দীন, সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আমিন, লোকমান হাকিম মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মুখপাত্র অ্যাড. মোসাহেব উদ্দীন বখতেয়ার, আনজুমান রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রমুখ। এতে তাকরির করেন মুফতি কাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ, হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, মুফতি মুহাম্মদ ওমাইর রেজভী।
এদিন সকাল ৯টা হতে খতমে কোরআন মজিদ, খতমে বোখারী শরীফ, খতমে মাজমু’আহ–এ–সালাওয়াতে রাসুল (দ.), খতমে গাউসিয়া শরীফ, খতমে খাজেগান, জীবনী আলোচনা এবং বা’দ যোহর মিলাদ–ক্বিয়াম শেষে আখেরী মোনাজাত করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ কাজী মুহাম্মদ আবদুল আলীম রেজভী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।