খাজা মইনুদ্দিন চিশতীর (রহ.) ওরশ উপলক্ষে ফাতেহা ও মিলাদ মাহফিল

| রবিবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৭:১৮ অপরাহ্ণ

আতায়ে রাসুল, সুলতানুল হিন্দ, গরিবে নেওয়াজ হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী সান্জরী আজমেরী (রহ.)-এর পবিত্র ওরশ শরিফ উপলক্ষে ফাতেহা, পবিত্র কোরআন খতম, খতমে খাজেগান ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুতুবুল আকতাব, শাহান শাহে বেলায়ত হজরত শাহ সুফি আমানত খান (রহ.)-এর দরগাহ শরিফ ও খানকায়ে আমানতীয়া বেলায়েতীয়া শরিফের উদ্যোগে আয়োজিত এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওলাদেপাক ও শাজ্জাদানসীন সৈয়দ মো. হাবিব উল্লাহ খান মারুফ শাহ আল-আমানতীর সভাপতিত্বে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

মাহফিলের প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওলাদেপাক ও শাজ্জাদানসীন শাহজাদা ইজাজ উদ্দিন মো. আজীম খান মুজাদ্দেদী। বক্তারা তাঁদের আলোচনায় বলেন, গরিবে নেওয়াজ হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন পাক-ভারত উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের নিবেদিতপ্রাণ খাদেম। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক মর্যাদা ও নৈতিক মহিমার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’—অর্থাৎ গরিবদের বন্ধু—উপাধিতে ভূষিত হন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মো. আবুল মনসুর, ব্যাংকার আলহাজ্ব মো. জয়নাল আবেদীন, দরগাহ শরিফ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. তবারক আলী, সমাজসেবক মো. মিহির সরফুদ্দীন, মো. শামসুল আলম শামসুসহ আশেকান ও ভক্ত মুসল্লিগণ।

শেষে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন আওলাদেপাক ও শাজ্জাদানসীন শাহজাদা ইজাজ উদ্দিন আজীম খান। মুনাজাত শেষে ভক্ত মুসল্লিদের মাঝে তবারক বিতরণ এবং বাদে জুমা তবারক খাবারের আয়োজন করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা পদ্ধতি ও ডেটা বিশ্লেষণ বিষয়ক কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-১৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বৃহত্তর সুন্নী জোটের প্রার্থী শাহজাহান