খাজা চৌহরভী ছিলেন আল্লাহ প্রদত্ত নূরানী জ্ঞানে ভাস্বর ও বেলায়তের নক্ষত্র

আলমগীর খানকায় ওরস মাহফিলে বক্তারা

| শুক্রবার , ৩০ মে, ২০২৫ at ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

আনজুমানএ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় নগরীর পশ্চিম ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকাহ্‌এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী রাহমাতুল্লাহি আলায়হির ১০৪ তম পবিত্র ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা বলেন, গাউসে জমান খাজায়ে খাজেগান হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ছিলেন মাওলা আলী শেরে খোদা হযরত আলী মুরতুজা রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর বংশধর। মহান আধ্যাত্মিক সাধক হযরত ফকির মুহাম্মদ রাহমাতুল্লাহি আলায়হির ঔরসে ১২৬২ হিজরিতে বর্তমান পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের হাজারা জেলার হরিপুর শহরের নিকটবর্তী চৌহর শরীফে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন বহু উঁচু স্তরের আধ্যাত্মিক সাধক, একজন শ্রেষ্ঠ আশেকে রাসূল ও সফল সমাজ সংস্কারক। সমসাময়িক সমস্ত বাতুলতাকে নিশ্চিহ্ন করে হযরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশিত পথে ও মতে সমাজকে তিনি পরিচালিত করেছিলেন। তরিক্বতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে তিনি মানুষকে পরিশুদ্ধ ও পরিশীলিত করতেন। প্রচলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানার্জন না করেও খাজা চৌহরভী ছিলেন আল্লাহ প্রদত্ত নূরানী জ্ঞানে ভাস্বর। তিনি অদ্বিতীয় ত্রিশপারা বিশিষ্ট দরূদ শরীফ গ্রন্থ মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রচনা করে বিশ্বের বুকে তাক লাগানো এশকে রাসূলের খেদমত আঞ্জাম দেন। এ গ্রন্থটি আধ্যাত্মিক জগতে তাঁর অর্জিত জ্ঞান ও ইলমে লাদুন্নীর বহিঃপ্রকাশ। দরূদ শরীফকে উপজীব্য করে লিখিত এ গ্রন্থটি তাঁর অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচায়ক। এ মূল্যবান কিতাবটি তাঁর প্রকাশ্যঅপ্রকাশ্য, গুণগত, জাগতিক ও আধ্যাত্মিক কামালিয়াতের প্রকৃষ্ট প্রমাণ। অন্তরের পরিশুদ্ধি ও মানবীয় পরিপূর্ণতার জন্য প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ আক্বিদা, পূর্ণাঙ্গ ইলম ও কার্যকর আমলের নির্দেশনাদি এ গ্রন্থে পূর্ণরূপে বিদ্যমান। গ্রন্থটি নিয়ে বর্তমান সময়ে অনেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করছেন। এটি বর্তমানে মাদরাসার পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। দ্বীনি ইলমের খেদমতই এ মহান সিলসিলার শায়খগণের একমাত্র আরাধ্য ছিল উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, হযরত চৌহরভি রাহমাতু্‌ল্লাহি আলায়হি প্রতিষ্ঠা করেন একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসাএ ইসলামিয়া রহমানিয়া। তিনি এ মাদরাসার সার্বিক উন্নয়নে নিয়োজিত ছিলেন।

আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সালানা ওরস মোবারক মাহফিলে বক্তব্য দেন, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ কাজী আবদুল আলীম রেজভী, কাজী আবদুল ওয়াজেদ, হাফেজ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী। এতে অংশ নেন, আনজুমান ট্রাস্টের এডিশনাল সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী এস এম গিয়াস উদ্দিন (শাকের), ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ কমর উদ্দীন (সবুর), প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দীন, আনজুমান ট্রাস্টের এক্সিকিউটিভ সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ, মোহাম্মদ নুরুল আমিন, মাহবুব ছফা, মোহাম্মদ হোসেন খোকন প্রমুখ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন, তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হযরাতে মাশায়েখ কেরামের দরবারে বাদ যোহর বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করেন জামেয়ার সাবেক অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাদশাহ আলম স্মরণসভা আজ
পরবর্তী নিবন্ধআকবরশাহে ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার