নিরাপত্তাহীতায় একে–অপরের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় পাল্টা–পাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য মনজিলা সুলতানা ঝুমার ও এনসিপির গুইমারা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক মো. রাসেল শেখ। গত ১২ জুলাই সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে মনজিলা সুলতানা ঝুমার বিরুদ্ধে অনিময় ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন মো. রাসেল শেখ। এরপর ১২ জুলাই রাতে খাগড়াছড়ি থানায় মনজিলা সুলতানা ঝুমা জিডি করেন।
ঝুমার করা জিডি সূত্রে জানা যায়, গুইমারা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক মো. রাসেল ঐ দিন সকাল ১০টায় কন্যা ভুল করিস না…ধীরে ধীরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছি… বয়কট’ শীর্ষক একটি ফেসুবক পোস্ট করেন। ঐ পোস্টের নীচে তিনি আবার একাধিক নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এরপর বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ঝুমার বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর পোস্ট করা হয়। একই দিন মো. রাসেল খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আমাদের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। ঐ সংবাদ সম্মেলনে ঝুমা এবং তার সংগঠনকে হেয় প্রতিপন্ন করে বিভিন্ন বক্তব্য রাখেন বলা উল্লেখ করা হয় জিডিতে। এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন মনজিলা ঝুমা।
এদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে গত ১৩ জুলাই খাগড়াছড়ি সদর থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন মো. রাসেল শেখ। তিনি বলেন, মনজিলা ঝুমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করার পর থেকে বিভিন্ন হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি ও আমার সংগঠনের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন পোস্ট করা হচ্ছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই থানায় জিডি করেছি। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা, দুই এনসিপির নেতা ও নেত্রীর পাণ্টা–পাল্টির জিডির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জিডি তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।