খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনার ২ মাস পর মামলা হয়েছে। মামলায় উপ ঠিকাদার প্রাণতোষ প্রকাশ প্রানন্ত বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন আরেক উপ ঠিকাদার মো. সেলিম, পাবর্ত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা ও জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভিকটিম জালাল খান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী) আদালতে পিটিশন দায়ের করলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম পিটিশনটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক মো. জাহঙ্গীর আলম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা করে হত্যাকাণ্ড সংগঠনসহ নিহত ও আহত শ্রমিকদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে ফৌজদারী অপরাধ করেছে। তাদের শাস্তির দাবি করে জালাল খান অভিযোগ দায়ের করেছে। আদালত ফৌজদারী কাযবিধির ১৫৬(৩) ধারা মতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে দায়ের করার নিদেশ দেন।
৮ অক্টোবর বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে নতুন করে নির্মিত ছাদের একটি অংশ ধসে পড়লে ২ শ্রমিক নিহত ও ৫ জন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জেলা পরিষদের গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি ৭ কার্য দিবসে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও দুই মাসেও তা দিতে পারেনি।