খাগড়াছড়িতে স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় স্বামী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু তাহের উক্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান মামলার বাদী চন্দ্রিকা চাকমার আইনজীবী সৌরভ ত্রিপুরা। কিন্তু পুলিশ বলছেন-তারা এখনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাননি। রিন্টুর স্ত্রী চন্দ্রিকার মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘২০১৩ সালের ১৩ মার্চ খাগড়াছড়ির গুইমারার আমতলী গ্রামের অক্ষয়মণি চাকমার ছেলে রিন্টুর সাথে চন্দ্রিকার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে আসছিল রিন্টু। যৌতুক না দেয়ায় পারিবারিকভাবে চন্দ্রিকাকে প্রায় নির্যাতন করা হত। ২০১৪ সালে তাদের ঘরে কন্যা সন্তান আসে। বেকার থাকায় রিন্টুর শ্বশুর বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের যৌতুক নেন। বিসিএস ভাইভার আগে চাকরির জন্য ঘুষ দেয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন রিন্টু চাকমা। এসময় তাকে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। এছাড়া কুড়িগ্রামে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বিভাগীয় মামলা ও ওএসডি থেকে খালাস পেতে আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয় চন্দ্রিকা চাকমা।’ এঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন চন্দ্রিকা চাকমা। এদিকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে শিশু কন্যাসহ ৯ সাক্ষীর বক্তব্য উল্লেখ করে নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন বিচার বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৌরভ ত্রিপুরা জানান, ‘ ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তার কর্মস্থল ও গ্রামের বাড়ি গুইমারার আমতলীতেও পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে গুইমারা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান- ‘আমরা রিন্টু চাকমার বিরুদ্ধে কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পায়নি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’মামলার বাদী চন্দ্রিকা চাকমা বলেন,‘ আমি ন্যায় বিচার চাই। আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে।