খাগড়াছড়িতে বাড়ছে আবহাওয়াজনিত রোগের প্রকোপ। জ্বর-সর্দি কাশিসহ নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে দৈনিক দেড়শ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানায় হাসপাতাল সূত্র। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
খাগড়াছড়িতে দিনের বেলায় গরম থাকলেও রাতের বেলায় কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। ঠাণ্ডার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পাহাড়ি গ্রামাঞ্চলে। এতে বেশি বিপাকে পড়ছে দুর্গম এলাকার মানুষেরা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার তারতাম্যের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠাণ্ডা ছাড়াও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। ঠাণ্ডায় আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জাহেদা আক্তার জানান, প্রায় ১৪ দিন ধরে আমার বাচ্চা অসুস্থ। এখানে ভর্তি করিয়েছি প্রায় ৪ দিন। এখন অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার মহালছড়ি থেকে নিজের ২ বছরের শিশুকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আসেন সেলিনা বেগম।
তিনি বলেন, আমার বাচ্চা জন্মের ৪ মাস পর থেকেই শ্বাস কষ্টে ভুগছে। এখন রাতের বেলা ঠাণ্ডা পড়ার কারণে বাচ্চার শারীরিক অবস্থা অবনতি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এদের বেশির ভাগের বয়স দুই বছরের মধ্যে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে নবজাতক ও শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে অনেক শিশু সিবিয়ার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আশংকাজনকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ঠাণ্ডার কারণে সামনে রোগীর চাপ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওমর ফারুক জানান, ঋতু পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেশি। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন দুই থেকে তিনগুণ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগীদের বেশির ভাগই শিশু যারা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে অন্তত দেড়শ শিশু। তিনি বলেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ রোগী ভর্তি হচ্ছে। এসময়ে শিশুদের যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এসময় খাগড়াছড়ি ১শ শয্যার সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল রয়েছে। চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা ব্যাহত হচ্ছে।












