খাগরিয়ায় দুজনকে মারধর ও কুপিয়ে জখম

ইউপি নির্র্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় এই হামলা বলে অভিযোগ

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৫ মার্চ, ২০২২ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ার খাগরিয়ায় দুজনকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতরা হলেন, শহীদুল ইসলাম (৩৫) ও নুরুল ইসলাম নুরু (৫৫)। সম্প্রতি খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় এই হামলা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মাইজ পাড়া আছিয়ার পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুরে খাগরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মজিদার পাড়ার মৃত মো. ইউসুফের ছেলে শহীদুল ইসলাম ও একই এলাকার মৃত আবুল খাইয়েরের ছেলে নুরুল ইসলাম নুরু রিকশাযোগে ভোর বাজার এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাচ্ছিল। দুইজনই মাইজ পাড়া আছিয়ার পুকুর পাড়ে পৌঁছার পর ২০-৩০ জনের সংঘবদ্ধ দল রিকশা থামিয়ে শহীদুল ও নুরুকে নামিয়ে নিয়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে নুরু পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও শহীদকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
আহত শহীদুল ইসলাম দাবি করেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাম্মদ জসীম উদ্দিনের নেতৃত্ব্বে ২০-৩০ জনের দল রিকশা থামিয়ে আমাদের নামিয়ে ফেলে। এরপর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কেন কাজ করেছি বলতে বলতে প্রথমে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে পার্শ্ববর্তী ঘর থেকে কিরিচ এনে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পুলিশ এসে উদ্ধার না করলে তারা আমাকে মেরে ফেলতো।
খাগরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেন বলেন, জসীম এলাকায় এসে আবারো সংঘাত শুরু করেছে। নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় এবং দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথি চৌধুরীর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাক্ষী হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জসীম লোকজন নিয়ে শহীদ ও নুরুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জসীম উদ্দিন বলেন, আমি এলাকায় ছিলাম না। ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে জানি না। সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ৪ জনকে আটক করেছে। জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমীক্ষা শেষে দুই বিকল্প
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় আবার বেড়েছে তামাকের আবাদ