খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক ডুবে যান চলাচল ব্যাহত

পাহাড় ধসের শঙ্কা

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ২ জুলাই, ২০২৪ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়িরাঙামাটির সড়কের বিভিন্ন অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি বাড়ছে সড়কে চলাচলকারীরা। এছাড়া ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। তাই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, গতকাল সোমবার সকালে খাগড়াছড়িরাঙামাটির সড়কের চব্বিশ মাইল এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এছাড়া গতকাল সকাল থেকে জেলা সদরের শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লাটিলায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীতে সরিয়ে নিতে মাঠে নামেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম। তিনি বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার আছে। দুযোর্গ মোকাবেলায় আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি।

খাগড়াছড়ি পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং চলছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া শঙ্কা রয়েছে।

রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুর থেকে সড়কে পানি উঠায় রাঙামাটিখাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার কেংগালছড়ি এলাকার সড়কের ওপর পানি উঠে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) রাঙামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, ভারি বৃষ্টিপাতে দুপুরে রাঙামাটিখাগড়াছড়ি আঞ্চলিক সড়কের কেংগালছড়ি স্কুলের সামনের সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তবে ভারি যানবাহনগুলো কিছুটা চলাচল করতে পারলেও ছোট যানবাহনগুলো যেতে পারছে না।

এদিকে, গত দুদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাঙামাটি জেলার পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমি ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। জেলা শহরের রূপনগর, শিমুলতলীসহ পাহাড় ধসের অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদে যেতে আহ্বান জানাতে ওইসব এলাকায় গিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

রাঙামাটি জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষণ ক্যচিনু মারমা জানান, গত রোববার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৯ মিলিমিটার।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটি জেলায় পাহাড় ধসে ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর পরের বছর ২০১৮ সালে জেলার নানিয়ারচর প্রাণহানি হয় আরও ১১ জনের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে চাকমা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
পরবর্তী নিবন্ধপানি বেড়ে তলিয়ে যাচ্ছে শঙ্খচরের সবজি ক্ষেত, বন্যার শঙ্কা