সদ্য পুনর্গঠিত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘পার্বত্য খাগড়াছড়ির সর্বস্তরের ছাত্রজনতা’। এসময় বিতর্কিত পরিষদ বাতিল করার দাবি জানান তারা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গুইমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উশৈপ্রু মারমা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত আওয়ামী নেত্রীকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের মতো একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই আসনের সাবেক এমপি কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরার অনুগত নেত্রী ছিলেন। তার স্বামী একজন আওয়ামী লীগ নেতা। এমনকি কেন্দ্রীয় আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরকে ফুল দেওয়া, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিকে বরণ করে নেওয়াসহ মহিলা এমপি হওয়ার জন্য তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় অফিস থেকে নমিনেশন ফরমও সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে সুযোগ দিতে পারি না। নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও জনগণকে বিপদে ফেলে দিতে পারে। এরকম ব্যক্তি জেলা পরিষদে নিয়োগ পাওয়া মানে পতিত আওয়ামী নেতাদের পুনর্বাসন করা এবং তাদের অবৈধ ও অসমাপ্ত কাজে সহযোগিতা করা। ফলে আওয়ামী লীগ নেত্রী চেয়ারম্যান হওয়ায় সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি প্রধান উপদেষ্টা নবগঠিত পরিষদকে বাতিল না করেন তাহলে আমরা জেলা পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও, হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হব। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সূর্যকিরণ ত্রিপুরা (কার্বারী), সুমিত্রা চাকমা, বিদর্শী চাকমা ও ইব্রাহিম খলিল।