বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় খাগড়াছড়ির সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। খাগড়াছড়ির জেলা সদর ও উপজেলা সদরের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। তবে বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে সর্তক অবস্থান নেয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সমীর কান্তি চাকমা বলেন, ঘটনার পর আজকে ব্যাংকের ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের খাগড়াছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক সারোয়ার আলী খান বলেন, আজ সকাল ৭টায় আমাদের কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে যেহেতু জেলা শহরে আছি তাই নিরাপত্তা নিয়ে তেমন শঙ্কা করছি না। কিন্তু সতর্ক আছি। নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আজ থেকে দুইজন গানম্যান দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সংকট আছে কিনা তা জানতে চেয়েছে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. নুরুউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে পুলিশ সদস্যরা একাধিকবার ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। সরকারিভাবেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। এছাড়া ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, আমরা সবাইকে ম্যাসেজ দিয়েছি তারা যেন সতর্ক থাকে। যতটুকু নিরাপত্তা দরকার ততটুকু নেয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, অলরেডি বিভিন্ন ব্যাংকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে কোর কমিটির মিটিংয়েও ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হবে।