খাগড়াছড়ির পানছড়ি, লক্ষীছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে ভোট দেয়নি কোনো ভোটার। এর মধ্যে পানছড়িতে ১১টি, লক্ষীছড়িতে ৫টি এবং দীঘিনালার ৩টি কেন্দ্র রয়েছে। গতকাল ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলাফল থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকতা অঞ্জন দাশ বলেন, লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুদুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ভোটার ভোট দেয়নি। এছাড়া দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে লক্ষীছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকতা সুলতানা রাজিয়া জানান, ভোটার কেন্দ্রে না আসায় বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ৪টা ও লক্ষীছড়ি সদর ইউনিয়নের ১টি কেন্দ্র ভোট শূন্য থাকে।
দীঘিনালার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ জানান, উপজেলার নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ভোটার ভোট দেয়নি। এসব কেন্দ্রের সবাই পাহাড়ি ভোটার।
১৯ কেন্দ্রে ভোট শূন্য হওয়ার ঘটনায় ইউপিডিএফের ‘ভোট বর্জন কর্মসূচি’কে দায়ী করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ইউপিডিএফ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা যেহেতু স্বশস্ত্র সংগঠন সেকারণে মানুষ তাদের ভয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেনি। একারণে দুর্গম এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। তবে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, নির্বাচনের উপরে মানুষের কোনো আস্থা নেই। তাই ভোটাররা ভোট না দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।