দেশের চলমান সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা। সময়মতো বাজারজাত করতে না পারার কারণে আম, আনারস, কাঁঠাল, পেঁপেসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ক্রেতা সংকটের কারণে স্থানীয়ভাবেও বিক্রি হচ্ছে না।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়িতে চলতি মৌসুমে আমসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়িতে ২ লাখ ১২ হাজার ৩শ মেট্রিক টন মৌসুমী ফল উৎপাদিত হয়। বাজারে উঠেছে আম, আনারস, কাঁঠালসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল। খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম বিভিন্ন জেলায় মৌসুমী ফল পরিবহন করা হলেও দেশের চলমান সংকটের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে লোকসানের মুখে পড়েছে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ক্রেতা সংকটের কারণে স্থানীয় বাজারেও পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। সময়মতো বিক্রি করতে না পারায় বাজারেই তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ির মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেন, হঠাৎ করে কারফিউ দিয়েছে। আমরা তো জানতাম না। এখন লোকসানে আছি। আমাদের দোকানপাট ঠিকমতো খুলতেও পারি নাই। অনেক আম নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক ফল ফেলে দিতে হয়েছে। বাইরে থেকে কোনো ক্রেতা আসছে না। ফলে আমাদের বিক্রিও কমে গেছে।
আরেক ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন বলেন, এবার আম্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আমের ভালো ফলন হয়েছে। খাগড়াছড়ি থেকে বিভিন্ন জেলায় আমসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল যায়। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে কৃষি পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।
মৌসুমী ফলসহ কৃষি পণ্য পরিবহনে যাতে নষ্ট না হয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ–পরিচালক আমির আব্দুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে আমাদের কৃষি পণ্য সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। শাট ডাউন ও কারফিউের কারণে কৃষি পণ্য সরবরাহ ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কৃষকরা দ্রুত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।