খাগড়াছড়িতে ভূমিহীন মানুষের জন্য দৃষ্টিনন্দন আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে সরকার। পৌর শহরে শালবন এলাকায় সাত একর জমির উপর নির্মিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প’ হবে দুস্থ, ভূমিহীনদের ঠিকানা।
এখানে আশ্রয় পাবে ৬০ পবিবার। রয়েছে পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা। সুপেয় পানি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, পুকুর সবই রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি উদ্বোধন করবে বলে আশা তার। এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে কথা চলছে বলে জানান মেয়র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়কের সঙ্গে প্রশস্ত একটি সড়ক এসে মিশেছে আবাসন প্রকল্পে। সেখান থেকে ছোট সড়ক পৌঁছেছে প্রতিটি ভবনের প্রধান ফটকে। প্রতিটি ভবনের সামনে ও পেছনে নানা রকম গাছ লাগিয়ে ছোট ছোট বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় ১৫টি আবাসিক ভবন। দুইতলাবিশিষ্ট প্রতি ভবনে ৪টি করে পরিবার বসবাস করবে। প্রকল্পে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। তবে নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সেবার জন্য রয়েছে সৌর বিদ্যুৎও। প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য পুুকুর খনন করা হয়েছে। আধুনিক নাগরিক সুবিধা রাখা হয়েছে আবাসন প্রকল্পে।
খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৬ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, আমার ওয়ার্ডের রসুলপুরে প্রকল্পটি শুরু হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে। নাগরিকদের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করে প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০২২ সালে। এখানে ৬০টি পরিবার বসবাস করতে পারবে। এখন এটি উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন বলেন, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের আওতায় নির্মিত আবাসন প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে দুইটি বেড রুম, একটি ডাইনিং রুম, রান্নাঘর ও টয়লেট। ইতোমধ্যে আবাসন প্রকল্পে কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে আমাদের কাছে দুই শতাধিক আবেদন জমা পরেছে। যাচাই বাছাই করে ৬০ পরিবারের হাতে চাবি তুলে দেয়া হবে। যারা পৌর শহরের নাগরিক এবং সত্যিকার অর্থেই ভূমিহীন, দুঃস্থ, গবীর–অসহায় কেবল তাদের আশ্রায়ণ প্রকল্পে কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হবে। এখানে স্বজনপ্রীতি করার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া কক্ষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়কে প্রাধান্য দেয়া হবে না।