খাগড়াছড়িতে রিমালের প্রভাব টানা বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ১০ গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যর সৃষ্টি হয়।
দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়াটার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।
মঙ্গলবার ভোর ৬ টার দিকে আলুটিলায় ধসে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সাথে ৩ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করে।
বেলা সাড়ে ৯ টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গতরাতে ১ টার দিকে সড়কের উপর ঝরে ভেঙে পরা গাছ সরাতে গিয়ে মোহাম্মদ রাসেল হোসেন নামে এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত হয়। পরে হাসপাতালের আনার পর তার মৃত্যু হয়।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সড়কে উপড়ে পড়া গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো.জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত ফায়ারফাইটার নাম মো. রাসেল হোসেনের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের বাসনা গ্রামে। তিনি ২০২৩ সালে একজন ফায়ারফাইটার হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন।
এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-মারিশ্যা সড়কের একাধিক সেখানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাঘাইছড়ির সাথে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ আছে। খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মাকসুদুর রহমান বলেন,” সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। ছোট যান চলাচল করতে পারছে। মাটি সরানোর কাজ শেষ হলে যাত্রী বাস ও ট্রাক চলাচল করতে পারবে।”