খাগড়াছড়িতে অভিযান চালিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গঞ্জপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় সদর উপজেলা ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় বর ও কনের পিতা উভয়কে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।স্থানীয়রা জানায়, জেলা সদরের সরকারি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জুঁইয়ের (ছ্দ্মনাম) মাত্র ১৫ বছর ৯ মাস। আগামী সোমবার তার বিয়ে এবং রবিবার গায়ে হলুদের দিন ধার্য করা হয় সব আয়োজনও চূড়ান্ত প্রায়। অতিথিদের নিমন্ত্রণের পালাও শেষ। বর ও কনে উভয়ের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর গঞ্জপাড়া এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে বিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেয়। এসময় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক সুস্মিতা খীসা উপস্থিত ছিলেন। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় বলেন, ‘নিজের অপরাধ স্বীকার করায় প্রাথমিকভাবে উভয় পরিবারকে সতর্ক করে মুচলেকা নেওয়ার পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ভবিষ্যতে যেন জুঁইকে (ছদ্মনাম) প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে দিতে না পারে সেইজন্য স্থানীয় গণমান্য, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি করা হয়েছে।