খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবির পাঁচ শিক্ষার্থী ৯ দিন পর মুক্ত

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ at ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

অপহরণের ৯ দিন পর মুক্তি পেয়েছে খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়টি স্বীকার করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা থেকে গণমাধ্যমেও প্রেস বিবৃতি পাঠানো হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চবি শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অপহৃত চবি পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১৬ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ৬.৩০ টার খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে পিসিপি সদস্য, রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার জামেরছড়ি এলাকার রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সতীশপাড়া এলাকার অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগ ও একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলা এলাকার মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের ২০২৩২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, রাঙামাটির বরকল উপজেলার চাইল্যাতুলি এলাকার দিব্যি চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০২৩২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলীকদম উপজেলার রেংপু পাড়া পোয়ামুহুরী এলাকার লংঙি ম্রোকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এই ঘটনার শুরু থেকেই ইউপিডিএফকে দায়ীকে করে আসছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুুরা। তবে শুরু থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইউপিডিএফ। ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা দাবি করেছেন তারা এই অপহরণের ঘটনার সাথে সম্পৃৃক্ত নন।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘যারা অপহরণের শিকার হয়েছে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমরা গতকাল থেকে বিষয়টি জানতে পারছিলাম। আজকে পিসিপি তাদের বিবৃতিতে পাঁচজনের মুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে। ফলে এখন আমরাও বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছি।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধঝুঁকিপূর্ণ, তবুও চলছে ভলগেট
পরবর্তী নিবন্ধবিয়ের তারিখ ঠিক করার আগেই দুই জনের মৃত্যু