১.
আমির সাইফুদ্দিন মাহমুদ একদিন ৮ বছরের সন্তান খসরুকে নিয়ে গিয়েছিলেন সুফি দরবেশ খাজা নিজামুদ্দিনের দরবারে। দুয়ার পর্যন্ত গিয়ে বেঁকে বসে শিশু খসরু। সে যাবে না। তার সিধে কথা– খাজা নিজাম যদি সত্যিকার অর্থে ঐশী প্রেমে উৎসর্গিত তাপস হয়ে থাকেন তাহলে তিনি নিজেই খসরুকে ডাকবেন! শিশু সন্তানের এমন ধৃষ্টতায় স্তব্ধ পিতা অগত্যা একাই ঢুকলেন নিজামের দরবারে। এদিকে খসরু দুয়ার থেকে দূরে দাঁড়িয়ে লিখলো লাইন ক’টি :
“এমন রাজসিক মহল তোমার
পায়রা বনে পরাক্রমি বাজ,
দীনজন এই দুয়ারে তোমার
নিমেষে হয়ে যায় ধনরাজ”
মনে মনে বললো যদি নিজাম সত্যিকার ঐশী সালতানাতের ধারক হয়ে থাকেন তাহলে এই কবিতার জবাব পাঠাবেন এবং নিজেই ডেকে নেবেন খসরুকে।
জবাবে মৃদুহাস্যে খাজা নিজাম লিখলেন :
“আসুক যে কেউ প্রাসাদের দ্বারাভ্যন্তরে
পূর্ণ সোনার মানব হবে মুহুর্তের ফেরে,
হয় যদিও মূর্খ সে জন অজ্ঞ অবুঝ অধম
এই পথে এলে হবে তার চিরসবুজ মরম”
কবিতাটা সেবকের হাতে দিয়ে বললেন– দুয়ারের বাইরে একটা শিশু দাঁড়িয়ে আছে এটা তাকে পড়ে শোনাও এবং ভেতরে আসতে বলো।
সেবক বাইরে গিয়ে বসে থাকা শিশুকে শোনালেন ছোট্ট কবিতাটি। তুষ্ট খসরু যেন জনমের জন্য ঢুকলেন নিজামের ডেরায়। বাকি জীবন কেটেছিল তাঁর পরিবেশিত পরমপ্রভুর ঐশী প্রেমের মদিরাপাত্রে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে রেখেই।
খসরু গবেষকরা প্রায় সবাই–ই বলেছেন ৮ বছর বয়স থেকেই কবিতা রচনায় হাতেখড়ি খসরুর। ভারতের ইতিহাসে বহুমুখী বিচিত্র বিস্ময়–প্রতিভার স্বাক্ষর রাখা অল্প কয়েকজন কবির মধ্যে আমির খসরুকে প্রথম কাতারে রাখলে বিজ্ঞজনেরা আপত্তি করবেন বলে মনে হয় না। “তোহফাতুল ইনস” গ্রন্থ থেকে জানা যায় লাখো পঙক্তি রচনাকারী কবি আবুল হাসান ইয়ামিন উদ্দিন খসরু ওরফে আমির খসরু। যার এক লক্ষ এখনো উপলভ্য! স্বীকৃত ও সম্মানিত হন “মালিকুশ শুআরা”(কবিদের বাদশা) নামে। জীবদ্দশায় খ্যাতির সীমা দিক্বিদিক ছড়িয়ে যায় তাঁর। “জাওয়াহেরুল আনোয়ার” গ্রন্থে জানা যায় তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য সুদূর ভারতে এসেছিলেন শেখ সাদী।
ভারতের পাতিয়ালায় ইংরেজি ১২৫৩ সালে জন্ম নিয়ে ১৩২৫ সালে পরলোকে পাড়ি দেয়া মানুষটাকে নিয়ে লিখতে গিয়ে কিছু বই ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। মনে হচ্ছিল এই অতি উদারনৈতিক পলি এ্যামারাস সম্পর্কশাস্ত্র মেনে চলা কবিদের যুগে খসরু যেন এখনো দৃষ্টি ধাঁধানো এক নিঃসঙ্গ জ্যোতির্ময়। হঠাৎ মাথায় প্রশ্ন এলো সাতশত বছর আগে বিদায় নেয়া মানুষটা কি আদৌ প্রাসঙ্গিক এখন আর? ভালো উত্তর দিতে পারে হাল জমানার গুগল, ইউটিউব! হাঁটলাম সে–পথেই। জানতাম না কবি খসরু তাঁর বিস্ময়ের খাঞ্চা হাতে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আজও! ইউটিউবে পেলাম ভারতের আঞ্চলিক/ফোক ঢঙে তাঁর লেখা কবিতার সুরারোপিত রূপ “ছাপ তিলক সাব ছিনি”। গেয়েছেন আবিদা পারভীন আর রাহাত ফতেহ আলী। দর্শক শ্রোতা কর্তৃক দেখা হয়েছে ৫৫ মিলিয়ন বার! লেখাটি শুরুর সময়েই ভাবছিলাম এমন একজন দরবেশ কবির ব্যাপারে কলম ধরার ধৃষ্টতা করছি, যাঁকে বলা হয়ে থাকে ভারতের প্রথম জাতীয় কবি। পারবো তো শেষমেশ? নিজের অযোগ্যতার অনুভব ছুঁয়ে যাচ্ছে বারবার।
২.
আধ্যাত্ম পথে স্বীয় পথপ্রদর্শক খাজা নিজামের সাথে পদব্রজে হজ্ব পালনকারী খসরু শেষ রাতে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদের প্রার্থনায় সাত পারা কোরআন পাঠ করতেন প্রায়শ। চাকরিরত অবস্থায় চল্লিশ বছর ধরে ১২ মাস রোজা পালনকারী ধর্মে উৎসর্গিত অথচ পূর্ণ অসামপ্রদায়িক মননের খসরু একাধারে ছিলেন ইসলাম ধর্মের উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন একজন আলেম। উগ্র সামপ্রদায়িক বিষবাষ্পে বহুধা বিভক্ত আজকের উপমহাদেশের অন্ধজনদের জন্য খসরু হতে পারেন চিন্তার আধার। ব্যক্তিজীবনে হাস্যরস প্রিয় বিনয়াবনত মানুষটি একান্ত যাপনে পরম স্রষ্টার প্রেমে ভাব বিভোর হয়ে অঝোরে কাঁদতেন। আবার খোদাপ্রেমী এই মানুষটাই ছিলেন মধ্যযুগে ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞদের একজন। ছিলেন অনন্য গায়ক। নিজের কীর্তি দিয়ে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে কেবল সমৃদ্ধই করেননি, সঞ্চারিত করেছেন নতুন প্রাণে। আজকের দিন পর্যন্ত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিক্ষাব্যবস্থায় অতিঅবশ্য পাঠ্য রাগ– ইয়ামান,বাহার,কাফী,শাহগড়ী,শাহানা সহ আরো অসংখ্য রাগের জনক এই কবি খসরু। ইতিহাসবিদদের প্রায় সবাই তাঁকে উল্লেখ করেছেন “ভারতের তোতাপাখি” (তুতি এ হিন্দ)হিসেবে। আর কেউ কেউ ভূষিত করেছেন “ভারতের কন্ঠস্বর‘” হিসেবে। উপমহাদেশের জনপ্রিয় “গজল” আর সুফি সঙ্গীতের বিশেষ ধারা “কাওয়ালী”র জনকও এই লোকটাই! যা আজো সমান জনপ্রিয়। শেষ নয় এখানেই। ভারতের সঙ্গীত পিপাসুদের জন্য আবিষ্কার করে দিয়ে গেছেন সেতার,তবলা, রতবাব, দোলকের মতো বাদ্যযন্ত্র যা ছাড়া এখনো অচল উপমহাদেশীয় প্রায় সব আঙ্গিকের সঙ্গীত। হিন্দুস্তানি সংগীতে ধ্রুপদই ছিল উচ্চমার্গীয় সঙ্গীতের পরিচিত ধারা। এ–ক্ষেত্রে খসরুর কীর্তি হল তিনি মুসলিম সঙ্গীত ধারা “খেয়াল”কে উপমহাদেশীয় সঙ্গীতের সাথে জুড়ে দিতে পেরেছিলেন। যা এখনো সমান জনপ্রিয় ও সমাদৃত। এ যেন এক অপার বিস্ময়।
একই সাথে তুর্কী, ইরানি আর ভারতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী আমির খসরুর সপ্রতিভ কলম উর্দু,ফার্সি এবং হিন্দি তিন ভাষার কবিতাতেই ছিল সমান সাবলীল। আবার এই তিন ভাষার মিশ্রণে লেখা অসংখ্য কবিতা রয়েছে তাঁর। তিনটি ভিন্ন ভাষা,সংস্কৃতির অতি অপূর্ব উপাদেয় রসায়নে আজও মজে আছে উপমহাদেশের সাহিত্যানুরাগীরা। বলা যায় একাধিক ভাষার সংমিশ্রণে কাব্য রচনার স্বল্প প্রচলিত ধারাটি নতুন যৌবন পায় খসরুর হাতে।
“যে হালে মিসকিঁ মাকুন তাগাফুল
দুরায়ে ন্যায়না বানায়ে বাতিয়াঁ”
খসরুর কাব্য প্রতিভায় বিমুগ্ধ হয়ে খাজা নিজামও লিখেছিলেন পদ্য। মাহাদুল যিকরির অনুবাদে–
“খসরুর উপমা গদ্যে পদ্যে সত্যিই অনুপস্থিত
বাকশক্তিটুকুও কোথা পাবো খসরু ব্যতিত।
এ তো স্বয়ং খসরু, কেউ সাহায্যকারী নয়
খসরুর ত্রাণকর্তা কেবল স্রষ্টাই হয় ”
বাবার কাছে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নেয়া খসরু পিতাহারা হন নয় বছর বয়সে। মাতৃ সম্পর্কীয় এক দূরাত্মীয় তার দেখাশোনা আর দিল্লিতে পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। দুঃসময়ের ত্রাতা হয়ে আসা সেই মানুষটি সম্পর্কের দিক থেকে তাঁর নানা ছিলেন। যিনি মারা যান ১২৩ বছর বয়সে। ১২৯৮ সালে আমির খসরুর মা ও ভাই মারা গেলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। কবিতা, সংগীত আর সুফি তাপস নিজামের সংসর্গ বাঁচিয়ে রাখে তাঁকে। পরে সুলতান গিয়াসুদ্দিন বলবনের সৈনিক হিসেবে যোগদান করে রাজকীয় আদালতের ছায়ায় কাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। বলবনের পুত্র বুগরা খান তাঁর গানে মুগ্ধ হয়ে স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে পুরস্কৃত করেন। ব্যক্তিত্ব,বিশ্বস্ততা,সততা আর ধর্মপরায়ণতায় মুগ্ধ হয়ে নাসির উদ্দীন বুগরা খান তাঁকে বাংলার শাসনকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন কিন্তু তিনি সম্মানের সাথে তা এড়িয়ে দিল্লিতে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে জালালুদ্দিন খিলজি ক্ষমতায় এলে তাঁকে “আমারত” উপাধিতে ভূষিত করেন।
৩.
আমির খসরুর লেখনীর বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যে রয়েছে গ্রন্থ– ওয়াসতুল হায়াত(১২৭৯), গুররাতুল কামাল(১২৯৪),খামসা ই খসরু(১২৯৮),সাকিনা, দুভাল রানি (১৩১৬), বাকিয়া নাকিয়া (১৩১৭), নুহ সিপার (১৩১৮), ইজাজ ই খসরু, আফজাল উল ফাওয়াইদ (১৩১৯), তুঘলক নামা (১৩২০), নিহায়াত উল কালাম (১৩২৫), রাহাতুল মুহিব্বিন ইত্যাদি।
খসরুর কাজের পরিধি ছিল যেমন ব্যপক তেমনি তাঁর জীবনের ঘটনাবলীও ছিল বৈচিত্রপূর্ণ। নানা ঘটনার পর গিয়াসুদ্দিন বলবন ১২৬৫ সালে দিল্লির মসনদে অধিষ্ঠিত হলে তিনি সাহিত্যে খসরুর বিস্ময় প্রতিভাকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে সভাকবি হিসেবে অধিষ্ঠিত করেন। ১২৭১ সালে তাঁর কাব্যগ্রন্থ “তোহফাতুস সুগরা” প্রকাশ পেলে কবি হিসেবে তিনি ব্যপক পরিচিতি লাভ করেন। বাংলার শাসনকর্তা তুগরল খাঁ–র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন গিয়াসুদ্দিন ১২৭৮ সালে। সেই যুদ্ধে তুগরল প্রাণ হারালে স্বীয় পুত্র বুগরা খানকে বাংলার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন গিয়াসুদ্দিন। পরবর্তীতে ১২৮১ সালে সুলতান মুহাম্মদের সাথে মুলতানে চলে যান খসরু। তার বছর পাঁচেক পর মোঙ্গলরা মুলতান আক্রমণ করে বসে। বলবন তাঁর ছেলে মুহাম্মদকে পাঠান মোঙ্গলদের প্রতিরোধ করার জন্য। সেই প্রতিরোধ যুদ্ধে মুহাম্মদের সাথে অংশগ্রহণ করে বীরবিক্রমে লড়েন আমির খসরু। দুর্ভাগ্যবশতঃ যুদ্ধে প্রাণ হারান মুহাম্মদ এবং খসরু বন্দি হন মোঙ্গলদের হাতে। ১২৮৭ সালে শত্রুর বন্দিশালা থেকে পালাতে সক্ষম হন তিনি। দেখা করেন বলবনের সাথে। সুলতান এই অমূল্য হীরের অবমূল্যায়ন করেননি এবারও। আবারও সভাকবির পদ গ্রহণের অনুরোধ জানালে সায় দেন তোতাপাখি খ্যাত ভারতের এই প্রথম জাতীয় কবি। তার ঠিক পরের বছরই প্রথম কাব্যগ্রন্থ “কিরিনুস সাদ্দাইন” প্রকাশ করেন তিনি। বিরামহীন যাত্রায় অবিচল তখন খসরুর কলম। ১২৮৯ সালে প্রকাশ পায় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “ওয়াস্তুল হায়াত”। এই বছরই বুগরা খান তার কাছে বাংলা ভ্রমণের অনুরোধ জানালে তিনি তাতে সম্মত হন এবং বাংলা ভ্রমণ শেষে রাজধানী লক্ষণাবতীতে ছিলেন কিছুদিন।
পরবর্তীতে নানা রাজনৈতিক ডামাডোলের পর খিলজি বংশের হাতে ক্ষমতা এলে তিনি সুলতানের বিশেষ অনুরোধে সচিব পদে যোগদান করেন। রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে মুগ্ধ হয়ে জালালুদ্দিন ফিরোজ খিলজি তাঁকে “আমির খসরু” উপাধিতে ভূষিত করেন এবং এই উপাধিই তাঁর চিরস্থায়ী নামে পরিণত হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালীদের অনুরোধে সম্মানিত স্থানে থেকে কাজ করে গেলেও থেমে থাকেনি তাঁর কাব্যচর্চা। অনর্গল তাঁর কলমে বইয়ে গেছে সাহিত্যের সুপেয় ধারা। একে একে লিখেছেন খামসা ই নিজামী, মিফতাহুল ফুতুহ সহ আরো অসংখ্য কাব্যগ্রন্থ।
দিল্লির সুলতানরা সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে তাঁকে সহজবোধ্য একটি ভাষা তৈরি করার অনুরোধ জানালে তিনি তা রক্ষা করেন। ফার্সি, আরবি, তুর্কী, সংস্কৃত আর খারিবলি ভাষার সংমিশ্রণে তৈরি করেন একটা ভাষা। যা আজ উর্দু ভাষা নামে পরিচিত! জীবন জুড়ে এমনই সব বিস্ময় কীর্তি রেখে যাওয়া খসরু সুলতান গিয়াসুদ্দিন তুঘলকের সাথে লক্ষ্মৌ থাকাকালীন সময়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তাঁর জীবনের আলোকবর্তিকা তুল্য প্রাণপ্রিয় সুফি সাধক খাজা নিজামুদ্দিন। সংবাদ পেয়ে দিল্লি ফিরে আসেন তিনি। হাজির হন নিজামের সমাধিতে। ইস্তফা দেন রাষ্ট্রীয় সকল প্রকার কাজ থেকে। সারাজীবনের সমস্ত রোজগার নিমিষে বিলিয়ে দেন দিল্লির দীন দরিদ্রদের মাঝে। ধর্মীয় পথপ্রদর্শকের প্রয়াণে এতোটাই শোকাভিভূত হয়ে পড়েন যে কালো পোশাক পড়তে শুরু করেন। গুরু–বিচ্ছেদের বহন অযোগ্য এই ভার তাঁকে এতোটাই বিমর্ষ করে দেয় যে তিনি মৌনব্রত ধারি তাপসে পরিণত হয়ে যান। নিজামের সমাধিকুঞ্জেই থাকতে শুরু করেন। এভাবে ছয় মাস শোকের গভীর অতলে ডুবে থেকে স্বীয় গুরুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে শান্তির শীতল ক্রোড়ে শেষ বিশ্রামে যান উপমহাদেশীয় সাহিত্যের বিস্ময় পুরুষ আবুল হাসান ইয়ামিন উদ্দিন আমির খসরু।