খবর পাচ্ছি, বিএনপি অস্ত্র জড়ো করছে : কাদের

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অভিযাত্রা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২৬ জুলাই, ২০২৩ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি সহিংসতার পথে যাচ্ছেএমন খবর পাওয়ার দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তারা মনে করে অস্ত্র শক্তি হলো আসল শক্তি। যারা অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতায় আসে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকার কথা নয়। সীমান্তের এপার থেকে খবর পাচ্ছি, অস্ত্র কিনছে তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটি ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে তারা মজুদ করছে।

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপির এক দফার আন্দোলন চলার মধ্যে গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি খবরের উৎস প্রকাশ করেননি।

আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী সেপ্টেম্বরঅক্টোবর থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আর ছাড় নয়। এই দেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। এদের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিরাপদ নয়। খবর বিডিনিউজ ও বাসসের।

এদিকে ঢাকায় বৃহস্পতিবার বিএনপির সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোও সমাবেশ ডাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ক্ষমতাসীনরা সংঘাত বাঁধানোর পাঁয়তারা করছে। বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার চাইলেও আওয়ামী লীগ সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ফলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিদেরকে কী করে বোঝাব যে বিএনপি এমন একটা দল, সেই দলকে গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবে। এ গ্যারান্টি না দিলে তারা কখনও চলমান নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হবে না। আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু একটা নির্বাচন আমরা করতে চাই। এটা আমাদের জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন তো ইন্ডিপেন্ডেন্ট করেছি। শেখ হাসিনার কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা আজকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীনে সাব অফিস নয়, নির্বাচন অফিস এখন একটা স্বাধীন অফিস। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এই ইনিশিয়েটিভ প্রধানমন্ত্রীর। নির্বাচন ব্যবস্থায় কারচুপি, জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপি ভোটে জিততে পারবে না বুঝে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। ভোটের পর কম্বোডিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটা আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত, কম্বোডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। কম্বোডিয়ায় বিরোধীদল অংশ নেয়নি, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এখানেও যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, সেটা কার অপরাধ? এতদিন যার মুখচোখ শুকিয়ে গিয়েছিল, এখন আবার গলায় পানি এসেছে। ফখরুলের গলায় এখন অনেক পানি। দেখতে মনে হয় অনেক ভালো মানুষ, অথচ মুখে এত বিষ! কী বাজে ভাষায় বক্তৃতা করে!

বিএনপির সমাবেশগুলোতে জনসমাগমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমাবেশের তুলনা করে কাদের বলেন, সবাই দেখেছে, এটা হলো শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি আস্থার একটা নিদর্শন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে আর নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। নির্বাচন পর্যন্ত সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। সংঘাত আমরা করব না। আমরা মাঠে সতর্ক থাকব। সংঘাত যারা করতে আসে, তাদেরকে আমরা প্রতিহত করব। তারা খালি মাঠ পেলে সংঘাত করবে, এটা সবাই জানে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ২০০
পরবর্তী নিবন্ধরেলওয়ের জায়গা দখলকারীদের তালিকা ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলে হাইকোর্টের নির্দেশ