বন্দর নগরী চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার গহিরায় শঙ্খ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত নজু মিয়ার খাল। খননের অভাবে খালটি হয়ে যাচ্ছে মৃত খাল। এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা উপার্জনের সাগরে গিয়ে মাছ ধরা। ফলে এ খালের গুরুত্ব ছিল অতুলনীয়। সেই খাল আজ মৃত খালে রূপান্তর হচ্ছে। ভাবতে ভীষণ কষ্ট লাগছে। তাছাড়া ভেড়িবাঁধ থেকে শঙ্খের কিনার পর্যন্ত মৎস্যজীবী জেলেদের যাতায়াত সুবিধার জন্য ৮/১০ ফুটের একটা রাস্তা ছিল। যেটা সংস্কার ও মেরামতের অভাবে সাগরের ঢেউয়ে ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। চারদশক ধরে এ খালের কোনো সংস্কার কিংবা খনন কিছুই হয়নি। করা হয়নি নজু মিয়ার খাল স্লুইসগেটের সংস্কার মেরামত। নামেমাত্র স্লুইসগেটের নেই স্লুইস নেই গেইট। ফলে সাগরের জোয়ারের নোনা পানি অনায়াসে সহজে ঢুকে পড়ে লোকালয়ের। এতে কৃষক ও ফসল চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কখনো সাগরের নোনা পানির প্রবেশ ঠেকানোর। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। ছোট বড় শাখা প্রশাখা সবমিলিয়ে খালের দৈর্ঘ হবে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। খননের অভাবে খালের নাব্যতা যেমন হারিয়ে গেছে। তেমনি যে যার মতো করে ভরাট করে দখল করে নিয়েছে। ফলে খালের প্রশস্ততা কমিয়ে খাল এখন নালায় রূপান্তর হয়েছে বিধায় দখল আর ভরাটে খাল এখন মৃত। দেশে মৃত খাল ও নদীর সংখ্যা যত বাড়ছে তেমনি জলাবদ্ধতা প্রকোপ আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা থেকে বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক আর ফসল ও চাষাবাদের। এলাকাবাসীর দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আশু পদক্ষেপ নেবেন।
মুহাম্মদ মনছুর
গহিরা, আনোয়ারা,
চট্টগ্রাম।