করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি শাক সবজি ও ফলমূল ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ শাক সবজি ক্ষেত থেকে তুলে আনার পর কয়েক দফা হাত বদল হয়। এতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি থাকার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া আপেল, আঙ্গুর, কমলা, মাল্টা ফলগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয়। এসব ফলের মধ্যেও অদৃশ্য জীবাণু ও ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমাদের দেশে সবজি চাষে কৃষকরা অবাধে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। কীটনাশক ব্যবহারের ৭ থেকে ১০ দিন পর ফসল তোলার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে কৃষকরা সেটি মানছেন না। ফসল ক্ষেত থেকে সরাসরি বাজারে চলে যাচ্ছে। সেইসব শাক সবজি খেয়ে কিডনি ও লিভার ড্যামেজ, হৃদরোগ ও ক্যান্সারসহ ভয়াবহ রোগ হতে পারে। জানা গেছে, সবজি ক্ষেতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া বারোমাসী ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, টমেটো, শিম, বরবটি, ঢেঁড়শ, ঝিঙে, লাউ, চিচিঙ্গা, কাকরোল, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাকও মূলাশাকসহ বিভিন্ন শাক–সবজির আগাম উৎপাদন ও ফলন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কীটনাশক। এতে মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগের জন্ম দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ফলিত খাদ্য বিজ্ঞান ও পুষ্টি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাজারে যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে– সেইসব সবজি ফলনের সময় কীটনাশকসহ বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। সেইসব যদি ভালোভাবে ধুয়ে না খাওয়া হয়, তবে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে কিডনি বিকল হয়ে যায়। এছাড়া আপেল, আঙ্গুর, কমলা, মাল্টা এবং কলাতে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। দেখা যায়, প্রথমদিকে এসব ফল খেলে সমস্যা দেখা যায় না। কিন্তু দীর্ঘদিন খাওয়া হলে ক্রনিক কিডনি রোগ এবং লিভার বিকল হতে পারে। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ফলমূল ধুয়ে খাওয়ার প্রবণতা কম। ধুয়ে খেলেও হালকা পানিতে ধুয়ে তারপর খাওয়া শুরু করে। এতে ক্যান্সারসহ নানা ধরণের জটিল ও কঠিন রোগ হতে পারে।